নোয়াখালীতে ছাত্র প্রতিনিধি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ

  © টিডিসি ফটো

নোয়াখালীতে ছাত্র প্রতিনিধি ও প্যানেল চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ৯৬ জেলের বরাদ্দকৃত চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণ না করে নগদ টাকায় অন্যত্রে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী সদর উপজেলার ২০ নং আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয়দের পক্ষে ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন পাটোয়ারী আজ সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘ছাত্র প্রতিনিধি ও প্যানেল চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ৯৬ জন জেলের বরাদ্দকৃত চাল ভোক্তাদের মাঝে বিতরণ না করে অন্যত্রে বিক্রি করে। যা জনগণ হাতেনাতে ধরে। বিষয়টি যারা চাল কিনেছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রমাণিত হয়। প্রতি বস্তা চাল ১০০০ টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে আরও ২২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। যেগুলো গ্রাম পুলিশ আব্দুর রহিমের হেফাজতে রাখা হয়।’

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো, ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ছাত্র প্রতিনিধি মো. রিয়াজ উদ্দিন, মো. সহেল এবং স্থানীয় আব্দুল কাদের নামের এক ব্যক্তি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, জেলেদের চাল বিতরণ করেছেন ছাত্র সমন্বয়করা। তিনি চাল আত্মসাৎ এর সাথে জড়িত নয় বলে জানান। 

জানতে চাইলে উপজেলা ট্যাগ অফিসার জহিরুল ইসলাম জানান, ‘এরকম একটি বিষয় আমি গতকাল রাত থেকে শুনতেছি। তবে এখনও বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘৯৬ জন কার্ডধারী জেলের জন্য এ চালগুলো পরিষদে আসে। প্রাথমিকভাবে আমি, সচিব, প্যানেল চেয়ারম্যান ও ছাত্র প্রতিনিধিসহ সরেজমিন মাস্টার রুল অনুযায়ী ৩০ নামে বিতরণ করি। এরপর সময় সুযোগের অভাবে আমরা সরেজমিন উপস্থিত থাকতে না পারায় বাকি কার্যক্রম চেয়ারম্যান ও ছাত্র প্রতিনিধিদের চালাতে বলি। তাদের বলেছি যারা এটার প্রাপ্য তাদের যেন বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এখন আমাদের অবর্তমানে তারা আসলে কোনো ধরনের অনিয়ম করেছে কিনা এটা সরেজমিন যাওয়া ছাড়া এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।’

ছাত্র প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয় জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কেউ ছাত্র প্রতিনিধি হয়েও আইনবহির্ভূত কাজ করে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। আর আন্ডারচরের যে বিষয়টা এটা যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ দেখাতে পারে। আমরা এ বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আখিনূর জাহান নীলা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বলেছি লিখিত অভিযোগ দিতে। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। আমি মৎস্য অফিসারকে বিষয়টা বলেছি উনাদের লিখিত অভিযোগ নিয়ে বিষয়টা দেখতে।’


সর্বশেষ সংবাদ