নির্বাচন না করার ঘোষণা এলডিপি চেয়ারম্যান অলির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৫ PM , আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৭ PM
ভবিষ্যতে আর সংসদ নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। চট্টগ্রাম-১৪ আসন আমার নির্বাচনি এলাকা। এ আসন থেকে আপনারা আমাকে বারবার নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। এবার আমার ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাবেন। সে আমার সব অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে।
শনিবার রাতে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) নির্বাচনি এলাকার সাতকানিয়া আংশিক ধর্মপুর ইউনিয়নে বণিকপাড়া দুর্গা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। শুধু ধর্মপুরে নয়, সাতকানিয়ার আংশিক এলাকার পুরানগড় ইউনিয়নের ফকিরখীল দুর্গাপূজা মণ্ডপে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার সময়ও এমন ইঙ্গিত দেন।
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ জানান, নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। সে আমেরিকা-লন্ডনে লেখাপড়া করেছে। তাকে আপনাদের জন্যই গড়ে তুলেছি। ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। তার স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।’
এ সময় বর্ষীয়ান রাজনীতিক অলি আহমদ তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার আংশিক) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক সানিকে পরিচয় করিয়ে দেন। সানি এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য। অলি আহমদ বণিকপাড়া ছাড়াও উপজেলার যেসব মণ্ডপে যান, সেখানে ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেন।
পূজামন্ডপে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় ছেলেকে দেখিয়ে অলি আহমদ বলেন, ‘আপনাদের চিন্তা হচ্ছে, আমার স্থলাভিষিক্ত কে হবে? আপনাদের ছায়া দেবে কে? সে (ছেলে) আপনাদের খেদমত করবে। আমিও যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের ছেড়ে যাব না।’ তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা উত্তম। এর মধ্যে সে ভুল করলে আমি ঠিক করে দিতে পারব। সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার দায়িত্ব আমি আমার ছেলের ওপর অর্পণ করলাম।’
আপনারা আমার ছেলের দায়িত্ব নিতে পারবেন কিনা- প্রশ্ন রেখে নেতা-কর্মীকে হাত তুলতে বলেন অলি আহমদ। উপস্থিত নেতাকর্মী হাত তুলে প্রতিশ্রুতি দেন। এর পর তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আমি এ এলাকায় আসিনি। কারণ আমি এলে, যারা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত, তাদের তৎকালীন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাত। নেতা-কর্মীকে আমি বিপদে ফেলতে চাইনি।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এলডিপি সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে এবং শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে। সে সময় আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প শোনায় আওয়ামী লীগ, এগুলো কি মানা যায়?’