বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ

বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেনে
বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেনে  © টিডিসি

বাগেরহাটে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেনের বিরুদ্ধে জায়গা দখল ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় মনির হোসেনসহ চারজনের নামে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন ও তার সহযোগীরা বিভিন্নি অপকর্ম করলেও অভিযোগ করার সাহস পায়নি কেউ। পুলিশও ছিল ক্ষমতাসীনদের সহযোগী। ৫ আগস্টের পর মুখ খোলা শুরু করেছে জনসাধারণ। তেমন এক ভুক্তভোগী পরিবার হলো ফরিদা বেগম। জোর করে লিখে নেওয়া হয়েছিল তার জমি এবং ভাঙচুর করা হয়েছিল তার মাথা গোঁজার ঠাঁই।

কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আবু হানিফ বলেন, ছাত্রলীগের বাগেরহাট জেলা সভাপতি মনির হোসেন ও ছাত্রলীগের সদর উপজেলা সভাপতি সাদ্দাম এই এলাকায় তারা মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। তারা ফরিদা বেগমের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে।

স্থানীয় সমাজসেবক মুজিবুর রহমান বলেন, সাদ্দাম ও মনির এই এলাকায় তান্ডব চালিয়েছে। বিভিন্ন জায়গা জোরপূর্বক দখল করে। ফরিদা বেগমের জায়গাও জোরপূর্বক লিখিয়ে নেয় তারা। তার জামাতা মীর কাইয়ুম সুমনকে সাদ্দামের নেতৃত্বে মারধর করা হয়।

মীর কাইয়ুম সুমন বলেন, ‘আমার শাশুড়ির জায়গা অভিযুক্তরা জোরপূর্বক দখল করে লিখে নেয়। যখন তারা জায়গার বদলে নাম মাত্র টাকা দেয় আমি না নিলে তারা তখন আমাকে মারধর করে এবং টাকা নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন আমরা টাকা নিই পরে আবার সেই টাকা নিয়ে আসে।’

আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাসের ধাক্কায় ভারতীয় নাগরিক নিহত, আহত ৫

ভুক্তভোগীর মেয়ে মহুয়া বেগম বলেন, ‘আমার মায়ের জায়গা অভিযুক্তরা জোরপূর্বক লিখিয়ে নিয়েছে। আমি এখন রাস্তায় রাস্তায় যেখানে সেখানে থাকি। আমার তিন বাচ্চাদের নিয়ে আমার মাথা গোঁজার জায়গাটা ফেরত চাই এবং এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

ভুক্তভোগী ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে নেয় মনির। সে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে আমাদের উদবাস্তু করে। আমার মেয়ের স্বামীকে তারা মারধর করে। আমি আমার জায়গা ফেরত চাই আর আমি মনির ও তাদের দোসরদের বিচার চাই।’

এ ঘটনায় ফরিদার মেয়ে মহুয়া রহমান বাগেরহাট মডেল থানায় ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি মনির হোসেনসহ চারজনের নামে অভিযোগ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ