ঢাকা আসছেন ডোনাল্ড লু, যে বার্তা দেবেন দিল্লিকে

অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সম্পর্ক জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশের অস্থির এই সময়ে আগামীকাল শনিবার ঢাকা সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। এ দলে থাকছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

তবে ডোনাল্ড লু ওয়াশিংটন থেকে সরাসরি ঢাকা আসছেন না। তিনি ঢাকা আসবেন দিল্লি হয়ে। সেখানে ওয়াশিংটন-দিল্লি প্রতিরক্ষাবিষয়ক ইন্টারসেশনাল সংলাপে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন তিনি। ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় আসবে। ১৬ সেপ্টেম্বর তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুর পাশাপাশি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এতে ঢাকাকে বিরক্ত না করার জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে দিল্লিকে বার্তা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বর্গা দিয়েছিল: নুসরাত তাবাসসুম

‘ঢাকাকে বিরক্ত না করতে দিল্লিকে বার্তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র’ শিরোনামে সমকালের একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘ঢাকায় ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা চাচ্ছে, বাংলাদেশ যেন ঘুরে দাঁড়ায়। তাই বাংলাদেশের বর্তমান সংকট উত্তরণের চাহিদাগুলো জানতে চাইবে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে বিষয়গুলোতে সামনের দিনে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বৈঠকে মূলত বাংলাদেশের বর্তমান সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতার বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। আসতে পারে তাৎক্ষণিক সহযোগিতার ঘোষণা। আর দীর্ঘ মেয়াদে সহযোগিতার বিষয়গুলো দলটি ওয়াশিংটন ফিরে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবে। সফর থেকে তারা মূলত জানতে চাইবে বাংলাদেশের চাহিদাগুলো। 

মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে জানতে চাইলে গতকাল সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন প্রতিনিধি দলের এ সফর প্রমাণ করে– বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক বিষয়ে আলোচনা হবে; কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এ সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই রয়েছেন শেখ হাসিনা?

আলোচনায় ঢাকার পক্ষ থেকে কী গুরুত্ব দেওয়া হবে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। ফোনালাপের পর মোদি এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছিলেন, বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে জো বাইডেন তাঁর এক্স হ্যান্ডলে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে কিছু বলেননি।

এদিকে গত ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের দ্য ইকোনমিক টাইমস ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে লিখেছে, ১০ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি ভারত ও বাংলাদেশ সফর করবেন। ভারতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে আসবে। তাতে বাংলাদেশের চলমান সংকটগুলো বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভারতবিরোধী প্রচারণা, উগ্রবাদীদের প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুই দেশ আলোচনা করবে।


সর্বশেষ সংবাদ