হাসিনা সরকারের নেয়া যে-সব প্রকল্প বাতিল হচ্ছে

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ  © সম্পাদিত

পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত যাওয়ার পর একে একে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র উঠে আসছে। রাজনৈতিক বিবেচনা এবং অপ্রয়োজনীয় অনেক সিদ্ধান্ত বাতিল করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে এবং মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ব্যয় সংকোচনের ঘোষণা দিয়েছে পরিকল্পনা উপদেষ্টা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, যে-সকল প্রকল্প রাজনৈতিক উদ্দেশে নেওয়া ও কম গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো বাদ দেয়া হবে। ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জানান, ঠিকাদার ও সরকারের যোগসাজশে বিভিন্ন প্রকল্পে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে।

আরও পড়ুন: এমপিও কার্যক্রম বন্ধ করে দিল সেসিপ কর্মীরা

চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। যার ১ লাখ কোটিই ঋণ। নতুন সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা মন্ত্রণালয়ে তার প্রথম বৈঠকে কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন প্রকল্পের যথাযথ মূল্যায়নে। তিনি জানান, বৈদেশিক মু্দ্রার সরবরাহ বাড়াতে পাইপলাইনে থাকা দাতা সংস্থার ঋণ ছাড়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মহাসড়ক নির্মাণ কিংবা বালিশ, হাতুড়ি, চামচ সব রকম সরকারি কেনাকাটা ও অবকাঠামোতে অতিরিক্ত ব্যয়ের তথ্য উঠে এসেছে নিয়মিত। কিন্তু বছরের পর বছর বন্ধ হয়নি অনিয়ম। বরং জনগণের করের টাকার অপচয়, দুর্নীতি বাড়িয়েছে খরচের বোঝা, বেড়েছে বিদেশি ঋণও। 

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বড় বড় প্রকল্পগুলোতে নকশা, ব্যয়, সময়সীমা এগুলোতে প্রচণ্ড রকমের অনিয়ম আছে। এই অনিয়ম কিছুটা আমাদের অদক্ষতার জন্য আর কিছুটা হলো ঠিকাদারদের এবং যোগসাজশে সরকারের অনেক বড় বড় জায়গায় অনেক বড় বড় দুর্নীতি আছে।’ 

আরও পড়ুন: বিপ্লবী ছাত্র-জনতা ও পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ‘মুক্তি কনসার্ট’ করবে বামবা

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে বড় ধরনের সংস্কারের তাগিদ দেন উপদেষ্টা। বলা হয়, কার্যকর নীতি গ্রহণে সঠিক তথ্যের বিকল্প নেই। উপদেষ্টা বলেন, উন্নয়নকে টেকসই করতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বাড়তি গুরুত্ব দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। 

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে গেলে, জিডিপি গ্রোথ বাড়াতে হলে ব্যয় করার চেয়ে বরং যেটুকু ব্যয় করা হয় তাতে সাশ্রয় করে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা বা এমন কৌশল গ্রহণ করা যাতে অতিশিঘ্র কিছু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।’ 


সর্বশেষ সংবাদ