কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ কর্মস্থলে না এলে পলাতক ঘোষণা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ কর্মস্থলে না এলে পলাতক ঘোষণা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ কর্মস্থলে না এলে পলাতক ঘোষণা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  © সংগৃহীত

কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, পুলিশের যেসব সদস্য এখনো কাজে যোগ দেননি, তাদের জন্য শেষ সময় হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার, এর মধ্যে মধ্যে যদি কেউ যোগ না দেন, তাহলে ধরে নেওয়া হবে তারা চাকরিতে ইচ্ছুক নন।

রবিবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে বুধবার আইজিপি মো: ময়নুল ইসলাম ৮ আগস্ট সন্ধ্যার মধ্যে সব ইউনিটের সদস্যকে কাজে যোগদান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা ধীরে ধীরে কাজে ফিরতে শুরু করলেও এখনো মাঠে নামেননি।

এছাড়াও আজ আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে ঢাকার কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তিনি বলেছেন, পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে তা ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’। আবার পুলিশও কিছুই করেনি, বিষয়টি এমন নয়।

পুলিশের হাতে আধুনিক মারণাস্ত্র দেখে তিনি আশ্চর্য হয়েছেন জানিয়ে বলেন, “পুলিশকে ব্যবহার করেছেন লাঠিয়াল বাহিনীর মত। এই পুলিশকে তৈরি করেছে, তাদের হাতে মারণাস্ত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের হাতে আমি সেসব অস্ত্র দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছি। এটা মনে হয় ১৫-২০ বছর আগে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র আছে তা শত্রুকে মারার জন্য। এটা পুলিশকে দেওয়া ঠিক হয়নি।”

জুলাইয়ে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন এক মাসের মাথায় সহিংস রূপ পায়। তারপর তা পরিণত হয় সরকারপতনের আন্দোলনে। ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে চলে গেছে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

এই আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের অনেকে শিক্ষার্থী। আবার সরকার পতনের আগে সংঘর্ষে এবং সরকার পতনের পরে থানায় থানায় হামলায় বহু পুলিশ সদস্যও হতাহত হন।

এর পর পুলিশি ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। নিরাপত্তাসহ ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন নন ক্যাডার পুলিশ সদস্যরা। পুলিশহীন রাজধানীতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে নামানো হয় আনসার। রাতের ঢাকা পরিণত হয় ডাকাত আতঙ্কে এক ভয়ের নগরীতে।


সর্বশেষ সংবাদ