সারাদেশে সহিংসতায় অন্তত ১১৯ জন নিহত, বাড়তে পারে সংখ্যা

  © টিডিসি ফটো

দেশজুড়ে সহিংসতা, হামলা এবং ভাঙচুরে অন্তত ১১৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই শেখ হাসিনার দেশত্যাগের আগে ও পরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। 

এসব সংঘর্ষের অনেকগুলোরই সূত্রপাত হয়েছে পুলিশ স্টেশনে হামলা থেকে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক নিহতের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়। পাঁচটি হাসপাতালে ৭১ জন নিহতের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুরে সোমবার সর্বোচ্চ ১১ জন নিহত হয়েছেন। জেলার তমিজ মার্কেট এলাকায় সাবেক যুবলীগ নেতা ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাড়ির সামনে থেকে সাতটি লাশ উদ্ধার করা হয়।

গাজীপুরে আজ বিকেলে আনসার একাডেমিতে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে আনসার সদস্যদের গুলিতে অন্তত দুইজন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষুব্ধ জনতা গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুরে আনসার ভিডিপি একাডেমিতে হামলা চালিয়ে দুটি প্রধান ফটক ও প্রবেশপথ ভাঙচুর করে। জবাবে আনসার সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে অন্তত দুজন নিহত হন। 

রাজশাহীতে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৮০ জন আহত হয়েছেন। নিহতের নাম সাকিব আঞ্জুম (২৭)। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর আলুপট্টি এলাকায় লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এদিকে হবিগঞ্জে সংঘর্ষে আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ইউএনবি জানিয়েছে, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এ  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

বরিশালে আওয়ামী লীগ নেতা ও বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পোড়া বাসা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বিকেলে শতাধিক দুর্বৃত্ত বাড়িটি ঘেরাও করে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে মরদেহ তীব্রভাবে পুড়ে যাওয়ায় নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

যশোরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের একটি হোটেলে আগুন দেওয়ার পর ১৩ জন নিহত হয়েছেন। কুষ্টিয়ায় ১৩ বছরের এক শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা চালাতে থাকা একদল লোকের ওপর পুলিশ গুলি চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে অভিনেতা শান্ত খানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে জনতা।


সর্বশেষ সংবাদ