ডেঙ্গুতে মায়ের মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পর মারা গেলেন মেয়েও

বুধবার দুপুরে জানাজা শেষে মা ও মেয়েকে নিজ বাড়িতে পাশাপাশি কবরে সমাহিত করা হয়
বুধবার দুপুরে জানাজা শেষে মা ও মেয়েকে নিজ বাড়িতে পাশাপাশি কবরে সমাহিত করা হয়  © সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার (৮ নভেম্বর) একই সঙ্গে পারিবারিক কবরস্থানে মা-মেয়ের দাফন সম্পন্ন হয়।

মঙ্গলবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মা সালমা বেগম (৪০) এবং মেয়ে মোসা. সাদিয়া বেগম (১২) ভোর ৫টায় মারা যান। 

জানা যায়, সালমা বেগম পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নেহালগঞ্জ গ্রামের দিনমজুর সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এবং সাদিয়া বেগম তাদের মেয়ে। 
 
সালমা বেগমের বড় ছেলে দশমিনা সরকারি আব্দুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র শামীম হোসেন জানান, দীর্ঘদিন জ্বরে আক্রান্ত থাকার পর গ্রাম্য ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে ভাল না হলে গত শুক্রবার তার মা ও বোনকে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের শাররীক অবস্থার অবনতি হলে গত রোববার তাদেরকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মা সালমা বেগম এবং ভোরে মেয়ে সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়।

সিরাজুল ইসলাম ঢাকায় রিকশা ও অটোরিকশা চালান। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ছিলো তার সংসার। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরেই সালমা বেগমের জ্বরের পাশাপাশি শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। মেয়েও অসুস্থ হয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসায় ভালো না হওয়ায় দুজন দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে তাঁদের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুজনকেই বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে গত শনিবারই তিনি বাড়িতে চলে আসেন। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মেয়ে ও স্ত্রী চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্ত্রী এবং বুধবার ভোর ৫টার দিকে মেয়ে মারা যায়।


সর্বশেষ সংবাদ