অবশ্যই নির্বাচন বানচাল করতে হবে: বদরুদ্দীন উমর

জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর
জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর  © সংগৃহীত

লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, অবশ্যই নির্বাচন বানচাল করতে হবে। তোমরা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচন বানচাল করোনি ১৯৯৬ সালে? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তোমরা তো আন্দোলন করেছিলে। এমন আন্দোলন হলো যে সেখানে শুধু নির্বাচন বাতিল হলো তা-ই না, বিএনপির মন্ত্রিসভার সবাইকে পদত্যাগ করতে হলো। তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো। এখনো তা-ই করতে হবে।

'বিরোধীরা নির্বাচন বানচাল করতে চায়’ আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগে প্রতিত্তোরে এ কথা বলেছেন তিনি। আজ শুক্রবার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও সংবাদপত্র’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজক গণসংস্কৃতি ফ্রন্ট।

এসময় প্রবীণ এ বামপন্থী রাজনীতিবিদ আরও বলেন, এখনো আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হলে যেভাবে আমলা-পুলিশের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এতে কোনোভাবেই এখানে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে না। এসময় তাদের যেতে হবে, তাদের তাড়াতে হবে। তাদের অধীন কোনো নির্বাচন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিরোধীদের অবস্থান ঠিক আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে, তা ঠিক আছে। 

এসময় তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন করব না, এটা বলছে। নির্বাচন করতে দেয়া হবে না, এ কথা বলছে না। আসলে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না, এই আওয়াজ তুলতে হবে। নির্বাচনের আগে থেকে আওয়াজ তুলব, জনগণকে সংগঠিত করব এবং জনগণ নিয়ে সব নির্বাচনী কেন্দ্র ঘেরাও করব, নির্বাচন হতে দেব না-এভাবে বলতে হবে। না হলে নির্বাচন করব না বলে বসে থাকলে আওয়ামী লীগ আগের মতোই নির্বাচন করে বসে যাবে।

আলোচনায় যোগ দিয়ে সংবাদপত্র দমন করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, শুধু সংবাদপত্র নয়, সবকিছুই দমন করা হচ্ছে। পরস্পরের সঙ্গে সব কটিই যুক্ত। আজকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার যে আন্দোলন, তা জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত, তার থেকে আলাদা করা যাবে না। সামগ্রিকভাবে জনগণের ওপর যে আক্রমণ হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে যদি লড়াই না করা যায়, এই পুরো পরিস্থিতি যদি বোঝা না যায়, তাহলে এই সংগ্রাম করে লাভ হবে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান। গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের সমন্বয়ক ইফতেখার আহমেদের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি হাসিবুর রহমান।


সর্বশেষ সংবাদ