যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির দুশ্চিন্তা হওয়া উচিৎ: প্রতিমন্ত্রী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম  © সংগৃহীত

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা বিএনপির জন্যই দুশ্চিন্তার দাবি করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “বিএনপিকে দুশ্চিন্তা করা উচিত, কেননা নির্বাচনের আগে বা পরে সংঘাত রয়েছে ভিসা বিধিনিষেধের আরেকটি মানদণ্ড হিসাবে।”

বুধবার (২৪ মে) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। 

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটি স্যাংশন নয়। এ ব্যাপারে বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। নির্বাচনের আগে বা পরে যেকোনো প্রকার সহিংসতা ঘটালে সেটা তাদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’ বৃহস্পতিবার নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় সে লক্ষ্যে বুধবার নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

এক টুইট বার্তায় ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আমি আজকে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গুরুত্বহীন করার জন্য দায়ী বা এতে জড়িত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর আমরা ভিসায় বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারি।’

উল্লেখ্য, নতুন ভিসা নীতিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলা বলেছেন, আজ, আমি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ)(৩)(সি)(থ্রিসি) এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি।

এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে দায়ী বা জড়িত মনে করলে ওই ব্যক্তির ভিসা প্রদান সীমিত করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।


সর্বশেষ সংবাদ