সেন্টমার্টিন-মহেশখালীতে বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া, বেড়েছে পানির উচ্চতা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ০৮:৪৪ AM , আপডেট: ১৪ মে ২০২৩, ০৮:৪৪ AM
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে। মোখার প্রভাবে কক্সবাজার শহর, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দমকা হাওয়াও। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঠেকাতে সেন্টমার্টি দ্বীপের প্রায় ১১ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৩ হাজার মানুষকে টেকনাফে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি ৮ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে ৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ দ্বীপের ৩৭টি হোটেল রিসোর্ট-কটেজ খালি করা হয়েছে।
রোববার (১৪ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিনে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দমকা হাওয়া। দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অনেকের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে গেছে। সবকিছুরই ফয়সালা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, এ মুহূর্তে সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্বাভাবিক দিনের চাইতে দুই থেকে তিন ফুটের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।
জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জেলায় সিপিপির ৮ হাজার ৬০০ জন এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ২ হাজার ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। সেন্টমার্টিনে নেভি, কোস্ট গার্ড, পুলিশসহ অন্যদের মিলিয়ে ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। তাই সেখানে সরকারি স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে আঘাত হানবে মোখা
দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ২০ লাখ নগদ টাকা রাখা হয়েছে; যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ৫.৯০ মেট্রিক টন চাল, ৩.৫ মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, ৩.৪ মেট্রিক টন শুকনা কেক, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র।
জেলায় যে ৫৭৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেগুলোতে ৫ লাখ ৫৯৯০ জন লোক রাখা যাবে। মেডিকেল দল, কোস্ট গার্ড, নৌ-বাহিনী, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক দল, স্কাউট দল, আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্হাগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে, আজ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৩ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।