আমার বাচ্চাকে ছেড়ে দিন, তার পরীক্ষা—মহিলা দল নেত্রীর আকুতি (ভিডিও)

পুলিশ ওই নারীর অনুরোধ শোনেননি
পুলিশ ওই নারীর অনুরোধ শোনেননি  © সংগৃহীত

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয় থেকে এক মা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই মা তার ছেলেকে নিয়ে বুধবার বিএনপির অনির্ধারিত সমাবেশে এসেছিলেন। সমাবেশ শেষে আবার বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। তবে তার আগেই পুলিশ ও বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, ওই নারীর নাম সুরাইয়া জেরিন রনি। তিনি বগুড়া গাবতলী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং বগুড়া জেলার মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক। তার ছেলের নাম রোমিও। ছেলে মিরপুর মণিপুরি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বার্ষিক পরীক্ষা চলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুরাইয়া জেরিন ও তার ছেলে একে অপরের হাত ধরে সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্য দিয়ে সারিবদ্ধভাবে বের হন। পুলিশ তাদের প্রিজনভ্যানে উঠতে বলেন, তবে রোমিও তার মায়ের হাত ধরে দ্রুত প্রিজন ভ্যানে না উঠে বের হয়ে চলে যেতে শুরু করেন।

এ সময় দুজন পুলিশ সদস্য তাদের দৌড়ে গতিরোধ করেন। প্রথমে আদের একটি প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করেন ডিবি পুলিশের দুজন সদস্য, তবে সেটিতে সব পুরুষ নেতা-কর্মী থাকায় তার পেছনের একটি প্রিজন ভ্যানে নেওয়া হয়, যেটিতে বিএনপির নারী কর্মীদের আগে থেকেই তোলা হয়েছে। মা ছেলেকে জোড় করে ডিবি পুলিশ ওই প্রিজন ভ্যানে তুলে দেন।

প্রিজন ভ্যানে ঢুকে, সুরাইয়া জেরিন ছেলের জন্য চিৎকার করে কান্না শুরু করেন। তিনি কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘আমার বাচ্চাকে ছেড়ে দিন, আমাকে নিয়ে যান, আমার বাচ্চার পরীক্ষা। তার বার্ষিক পরীক্ষা চলে, তার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, তাকে ছেড়ে দিন।’

এদিন বেলা সাড়ে চারটা পর্যন্ত নয়াপল্টনের সংঘর্ষে আহত আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। তাদের মধ্যে মকবুল মারা গেছেন। অন্যদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে, তারা হলেন রনি, মনির, আনোয়ার ইকবাল ও খোকন। রক্তাক্ত অবস্থায় মকবুলকে এক ব্যক্তি হাসপাতলে নিয়ে আসেন, যিনি নিজের নাম মোস্তাফিজুর রহমান বলে জানিয়েছেন।

সংবাদ প্রকাশের সৌজন্যে ভিডিওটি দেখুন-


সর্বশেষ সংবাদ