বর্তমান সরকার দেশকে শ্রীলঙ্কা বানিয়ে ছাড়বে: সাকি

জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশ
জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশ   © টিডিসি ফটো

গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতি জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণকে বুঝতে হবে সরকারের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। সরকার এ দেশকে শ্রীলঙ্কা বানিয়ে ছাড়বে। এ কারণে জনগণকে একসাথে লড়তে হবে। 

শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংগ্রামের ২ দশক এবং রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশের ৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা ৭ বছর ধরে এ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য এবং  নাগরিক অধিকারের জন্য লড়াই করছি। বর্তমানে নির্বাচনকে ভোট ভোট খেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন বর্তমান ফ্যাসিবাদ সরকার নির্বাচন নির্বাচন খেলা করবে কিন্তু ভোটের দিন ভোট দিতে পারবে না জনগণ। নির্বাচনে সরকারই ঠিক করে কাকে  কয়টা সীট দেওয়া হবে।

আর সীট বরাদ্দ না মানলে প্রধানমন্ত্রী  বলবে হেফাজতের দশা বানিয়ে দিবো, বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বাড়াবাড়ি করলে গুন্ডাবাহিনী পথে পথে আটকাবে। বাড়াবাড়ি করলে গায়েবি আওয়াজে বাস, ট্রাক, লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব নাগরিকের সার্বভৌমত্বের উপর দাড়িয়ে থাকে। যে দেশে জনগণের সার্বভৌমত্ব থাকে না সে দেশে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব থাকে না।

আরও পড়ুন: চিকিৎসককে বিয়ে করলেন ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এরা যদি জিতে যায় বাংলাদেশকে লুটে পুটে দেউলিয়া বানিয়ে দিবে। বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা বানিয়ে ছাড়বে। সরকার দলীয়রা বিদেশে সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে যাতে হেরে গেলে সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে বলেও জানান সাকি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে বুঝতে হবে বাংলাদেশ সরকারের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। এ কারণে সকলকে একসাথে লড়তে হবে। 

তিনি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে বলেন আসুন যার যার স্থান থেকে এগিয়ে এসে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলি। এ ঐক্যের লক্ষ্য হবে এদেশে একটি নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত গঠন করা। তিনি আরও বলেন এ নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য সকল রাজনৈতিক সংগঠনকে বৃহত্তর লড়াই গড়ে তুলতে হবে। আর এ লড়াইয়ের মাধ্যমে যারা বাংলাদেশের জনগণকে হত্যা করে ক্ষমতায় থাকছে তাদের পরাজিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন জনগণের সামনে সরকারের হম্বিতম্বি টিকবে না। তিনি দাবি করেন জনগণকে একত্রিত করে জনসংহতি আন্দোলন এ লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

এ ছাড়াও সমাবেশ শেষে জনসংহতি আন্দোলন মিছিল বের করে এবং মিছিলে ’সিন্ডিকেট ভাঙ্গো দ্রব্যমূল্য কমাও,’ ’নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার আইন, সর্বজনীন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা’ এসব প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতা কর্মীরা।


সর্বশেষ সংবাদ