‘নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়ন’ নিয়ে যা বললেন ইসলামিক বক্তা আহমাদুল্লাহ

নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়ন ও ফেসবুকে উৎফুল্লদের নিয়ে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইসলামিক বক্তা আহমাদুল্লাহ
নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়ন ও ফেসবুকে উৎফুল্লদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইসলামিক বক্তা আহমাদুল্লাহ  © সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ায় মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশ এখন সেরা। ফিফার পুরুষ র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অবস্থান যখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তখন মেয়েদের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের শিরোপা জয়ে দেশবাসী স্বভাবতই আনন্দিত ও উল্লসিত। আসলেই এ সাফল্য গৌরবদীপ্ত।  তাঁদের সাফল্যে আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বন্দনা। নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়ন ও ফেসবুকে উৎফুল্লদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ইসলামিক বক্তা আহমাদুল্লাহ। 

নিজের ফেসবুকে তিনি  লিখেছেন “মহিলা ফুটবল দলের শিরোপা জেতায় যারা অতি উৎফুল্ল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পর্দানশীন মেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার ঘটনায় তাদের এতো উৎফুল্ল হতে দেখা যায় নি কেন? তবে কি তাদের লক্ষ্য নারীর উন্নতি নাকি উন্নয়নের নামে নারীর উন্মুক্ত উপস্থাপন?

যারা নারী ফুটবলারদের দিয়ে এদেশে ‘ধর্মবিদ্বেষ’ কায়েম করতে চাইছেন, তাদের ভাবখানা এমন যেন মহিলা ফুটবল দল নেপালের বিরুদ্ধে খেলতে নামে নি, বরং ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল! বাস্তবতা হলো, এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ। খেলোয়াড়রাও এর বাহিরে নন।

আপনারা যাদের ‘ইউজ’ করে ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, তাদের একজন আল্লাহর উপর ভরসার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আরেকজন মাকে নামাজ-রোজা করতে বলেছেন। কখনো আবার পুরো দল সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। এ থেকে পরিষ্কার যে, তারা মুসলমানের সন্তান। তারা আমাদেরই বোন। হয়তো ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা তাদের নাই। যারা পাহাড়ী আছেন, তারাও আমাদের অংশ।

আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়নরা ফিরছে আজ, ছাদখোলা বাস যাবে যে পথে

তাছাড়া এসব মেয়েরা নিতান্ত গরীব ঘরের সন্তান। যদি তারা একটু সচ্ছল ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতেন তাহলে তাদের কয়জন ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেন সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়। সুতরাং ‘নারীবাদ’-এর মতো বড়লোকি তত্ত্ব তাদের জীবনে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন।

অতএব, এদের দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ও আলেমদের প্রতি ঘৃণার চাষাবাদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই দেশে সফল হবে না। বরং তাদের মধ্যে সামান্য দা’ওয়াতী কাজ করা গেলে এরা একেকজন হাজারো মানুষের হেদায়েতের কারণ হতে পারেন ইন শা আল্লাহ।

তবে এটা সত্য যে, যেটাকে খেলা বলা হচ্ছে সেটা মূলতঃ একটা সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে যাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অনেক সময় তারা নিজেরাও জানেন না যে, সামান্য পয়সার বিনিময়ে তাদের কোন্ কাজে ইউজ করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ তাদের ও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ লালনকারীদের হেদায়েত দান করুন।”


সর্বশেষ সংবাদ