শবেকদরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন যেভাবে
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:২১ PM , আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:৪০ PM

ইসলামের শ্রেষ্ঠ রাত লাইলাতুল কদর। এক রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। শবেকদর রাতকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে কারণ, এ রাতে আল্লাহতায়ালা ফেরেশতাদের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করেন এবং দুনিয়াবাসীর জন্য রহমত বর্ষিত হয়। এই রাতে যারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাদের গুনাহ ক্ষমা করা হয়।
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকের যে কোনো রাতে হতে পারে শবেকদর। এ রাত সম্পর্কে কুরআনুল কারিমে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে— إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
নিশ্চয়ই আমি এটি নাজিল করেছি কদরের রাতে। আর তুমি কী জানো, কী সেই কদরের রাত? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) অবতরণ করেন তাদের রবের নির্দেশক্রমে, সব বিষয়ের ফয়সালাসহ। এটি শান্তি, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরা আল-কদর: ১-৫)
শবেকদরের রজনীতে বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ হলো আল্লাহর ক্ষমা লাভ করা। এই রাতে কী দোয়া করা উচিত, তা নিয়ে সাহাবি আয়েশা (রা.) একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন।
তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি কদরের রাত পেয়ে যাই, তাহলে আমি কী দোয়া করব?’
রাসুল (সা.) বলেন, “তুমি বলবে— اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাআফু আন্নি।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। অতএব আমাকে ক্ষমা করুন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ৩৮৫০)
শবেকদরের ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমান ও নেক নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস: ২০১৪)
দোয়া আমল
শবেকদরের রাতে কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া, জিকির ও নামাজ আদায় করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, নফল নামাজ আদায় করা, দান-সদকা করা, এবং আল্লাহর কাছে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শবেকদর এমন এক রাত, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এ রাতের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। রাসুলুল্লাহ (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আমাদের উচিত, এই রাতে নিজেদের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করা, ইবাদতে মনোযোগী হওয়া এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা। কারণ, আল্লাহ নিজেই বলেন, আমি ক্ষমাশীল, আমি ক্ষমা করতে ভালোবাসি।