মানসম্মত শিক্ষায় শীর্ষে আইইউটি, দেশে-বিদেশে সমাদৃত স্নাতকরা
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) উপাচার্য হিসেবে চলতি বছরেই প্রথম মেয়াদে চার বছর পূর্ণ করতে চলেছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তার এ মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বেশকিছু সংস্কার কাজ হয়েছে। গতি পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমেও। এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। উপাচার্য পদে তার দায়িত্বের বিভিন্ন কার্যক্রম ও পদক্ষেপ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে। তার কথাগুলো শুনেছেন—তাওফিকুল ইসলাম হিমেল।
* ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় টিউশন ফি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভুগতে হচ্ছে। ডলার ও টাকা যদিও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়। তবুও শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ক্ষেত্রে এটাকে কীভাবে আরও সহনীয় করা যায়?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম: আইইউটি একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব ডলারে হয়ে থাকে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে স্টাইপেন্ডও ডলারে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, প্রতিটি সদস্য দেশ থেকে যে চাঁদা পাওয়া যায় সেটিও ডলারে হয়ে থাকে। যার ফলে ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করেই শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দিতে হয়। তবে এটা ঠিক যে, ডলার রেট বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী টিউশন ফি প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্পেশাল স্কলারশিপ ফান্ড রয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী যদি আবেদন করেন তাহলে সে ফান্ড থেকে তাদের আবেদন বিবেচনা করা হয়। এ ফান্ড থেকে গত অর্থ বছরে আমরা প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আইইউটি বর্তমানে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে প্রায় ২২০টি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে এবং তাদের অনেকে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপে পাঠদান করছেন। আমাদের আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে ২ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী স্কলারশিপে পাঠদান করছেন। এখানে উল্লেখ্য যে গত অর্থ বছরে ডলার এবং টাকা সমন্বয়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় অংকের বাজেট ঘাটতিও হয়েছে।
* বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক পারাপার বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। এখানে তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিকল্প কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় কিনা?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম: বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বিআরটিএর যে প্রজেক্টা চলছে, এটার অবস্থা সম্পর্কে সবাই জানেন। আমি এখানে দায়িত্বে আসার পরপরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকের কাছে অনুরোধ করেছি, কর্তৃপক্ষ গত বছর একটি জেব্রা ক্রসিং করে দিয়েছেন এবং তারা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুতই বিআরটি স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করবেন। দুবছর আগ থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এ সড়কের নিয়ন্ত্রণে আমরা দুজন কর্মী দিয়েছি। তারা সবসময় নিরাপত্তা ড্রেসআপে শিক্ষার্থীদের পারাপারে সহায়তা করছেন।
* শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনেকে এখনো হল পাচ্ছেন না। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আইইউটির বেশ সুনাম রয়েছে। কোনো অব্যবস্থাপনার কারণে কি শিক্ষার্থীরা হল পাচ্ছেন না নাকি আসনের চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম: অব্যবস্থাপনার তো প্রশ্নই আসে না। একটা সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলো মাত্র ৩০০ জন। শুরুর দিকে এটা ছিল ট্রেনিং সেন্টার। তখন কিন্তু শতভাগ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার আওতায় ছিলেন। তারপর ১৯৯৪ সালে ইন্সটিটিউট হলে তখন থেকে এখানে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম চালু হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে একটা ঋণের মাধ্যমে আরও একটি হল করা হয়। ধীরে ধীরে আইইউটির প্রতি দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের চাহিদা বাড়তে থাকে। তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শিক্ষার্থী বাড়লেও তো রাতারাতি অবকাঠামো বাড়ানো সম্ভব হবে না।
আবার অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থেরও দরকার আছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অবশ্যই এ সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ সঙ্কট সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে মেয়েদের হলকে আরও এক তলা এবং ছেলেদের জন্য নতুন আরও একটি হল নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। যার আনুষ্ঠানিকতা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। শিগগিরই ওই হলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এই নির্মাণ কাজগুলো শেষ হলে শিক্ষার্থীদের আবাসনের আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
* গেল বছরে বিদেশি শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার ফি কমানো, আবাসিক হলে এসি লাগানো, ওয়াশিং মেশিন দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছিলেন। এগুলো কি বাস্তবায়ন হয়েছে?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম: শিক্ষার্থীদের তাদের মতো আচরণ করতে হবে। ছাত্র জীবন হলো সংগ্রামের। আপনি এ বয়সে আরাম-আয়েশ করলে ভবিষ্যতের বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়া খুব কঠিন হবে। আইইউটির দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য হলগুলোতে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। যেমন- সকল শিক্ষার্থীদের রয়েছে ওয়াশিং মেশিন, গরম ও ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থা, সেন্ট্রাল লন্ড্রি সুবিধা। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়াশিং মেশিন আগে থেকেই ছিল। তারা এই মেশিন রুমে রুমে চেয়েছিলেন। যা ছিল অবান্তর। এ ধরনের আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
* এখন কতটি দেশের শিক্ষার্থী আইইউটিতে পড়াশোনা করছেন, শতকরা হিসেবে মোট শিক্ষার্থীর কত শতাংশ হবে এটা?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম: বর্তমানে ২৪টি দেশের শিক্ষার্থীরা আইইউটিতে পড়ালেখা করছেন। এটা শতকরা হিসেবে মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্য হলো যত দ্রুত সম্ভব এটাকে ২০ শতাংশে উন্নীত করা। তাছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে ওআইসিরও নির্দেশনা রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছর আরও প্রায় ১৪০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী আইইউটিতে ভর্তি হবেন।
* শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রিসার্চ প্রজেক্টে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি অনুদান দেয় নাকি সংশ্লিষ্টরা নিজ উদ্যোগে কার্যক্রম করছেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমন গবেষণাকর্ম হচ্ছে?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম: শিক্ষার্থীদের গবেষণা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ বহণ করছে। তবে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের পৃথক পৃথকভাবে এ বাজেট দেওয়া হয়। তাছাড়া শিক্ষকদের জন্যেও গবেষণা বাজেট রয়েছে।
গবেষণার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়কে উৎসাহিত করতে তাদের অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে। এতে করে গত বছরে আমাদের গবেষণা বেড়েছে ৩৯ শতাংশ। এছাড়া গবেষণার জন্য বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে গবেষণাকর্ম পরিচালনা করে আসছি।
* দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় সমমানের হলেও বিভিন্ন র্যাংকিংয়ে বুয়েট থেকে আইইউটি অনেক পিছিয়ে থাকে কেন? র্যাংকিংয়ে উন্নতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে কাজ করছে?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম: আইইউটি র্যাংকিং শুরু করেছে মাত্র তিন বছর হয়েছে। অন্যদিকে বুয়েটে র্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। এর বাইরে বুয়েট বাংলাদেশের লিডিং ইউনিভার্সিটি। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু প্যারামিটার রয়েছে। সেখানে কিছু ক্ষেত্রে বুয়েট আইইউটি থেকে এগিয়ে রয়েছে।
তবে এটা সত্য যে, আইইউটি কোয়ালিটি এডুকেশনে নাম্বার ওয়ান। এখানে আইইউটি কোনোভাবে ছাড় দেয় না। আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা সব জায়গাতে যথেষ্ট সমাদৃত। এটা শুধুমাত্র মান সম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশে আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা যেখানেই রয়েছে, তারা কোনো অংশেই বুয়েট বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চেয়ে কম নন। উল্লেখ্য আইইউটি গ্র্যাজুয়েট এম্প্লয়মেন্ট রেট ৯৭ শতাংশ।
* এক সময় আইইউটি ছিল শুধুমাত্র ছেলেদের বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো। এখন পর্যায়ক্রমে নারী শিক্ষার্থীদেরও সুযোগ দিচ্ছেন...
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম: ওআইসি ২০১৬ সালে একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিল। এখানে বাংলাদেশ সরকারেও বড় ধরনের একটা সমর্থন ছিল। আবাসন ব্যবস্থা না থাকার কারণে নারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে এখানে পড়ালেখা করতে পারতেন না। ফিমেল এডুকেশনের জন্য প্রথম দরকার ছিলো একটা আবাসিক হল। এটা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইইউটিকে করে দিয়েছেন। আশা করি, হোস্ট গভর্নমেন্ট হিসেবে এ ধরনের সহায়তা তাদের পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকবে এবং এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
* ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা দ্বারা পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আইইউটি ইসলামপন্থিদের একটা আস্থা-ভরসার নাম। ক্যাম্পাসে কতটুকু ধর্ম চর্চা হয়?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম: আপনি দেখবেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছেন। এটি একটি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি। এখানে মুসলিম শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করেন বটে তার মানে এই নয় যে, এখানে শুধু ধর্ম চর্চা হবে। আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যেভাবে প্রস্তুত করা দরকার আইইউটি শিক্ষার্থীদের সেভাবে তৈরি করার চেষ্টা করছে।
একইসঙ্গে আইইউটি শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় মূল্যাবোধের প্রসারে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করে যাচ্ছে। যেমন- বাধ্যতামূলক কোর্স হিসেবে ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হয়, ধর্ম বিষয়ক কমিটি সারা বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের সভা-সেমিনার আয়োজন করে থাকে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদেরও একটি স্যোসাইটি আছে, যেটি স্যোসাইট ফর ইসলামিক নলেজ সিকার্স নামে পরিচিত। তারা সারা বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ক্যাম্পাসে ছেলে-মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা নামাজের ব্যবস্থাও রয়েছে।
* ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশে কতটুকু প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে? আসন্ন বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়কে কোন উচ্চতায় দেখতে চান?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম: আইইউটির যাত্রা হয়েছিল একটি ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে। যা পরবর্তীতে ইন্সটিটিউট এবং সর্বেশেষ ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। যাত্রার দুএক দশকের মধ্যে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের একটা অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। অভিভাবকদের পছন্দের ক্ষেত্রেও আমরা একটা আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন তাদের ছেলে-মেয়েরা আইইউটিসহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলে ভর্তির জন্য আইইউটিকেই বেছে নিচ্ছেন।
গ্র্যাজুয়েটদের কথা যদি বলি, আপনি শুধুমাত্র মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোতে গেলেও দেখবেন আইইউটি গ্র্যাজুয়েটদের প্রাধান্য। কোম্পানিগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মুখে শোনা যায় নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়কেই প্রাধান্য দেন।
আমরা আইইউটিকে ভবিষ্যতে ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্যে নাম্বার গন্তব্য হিসেবে দেখতে চাই এবং সেভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান প্রস্তুত করা হয়েছে। এজন্য দরকার সদস্য দেশসমূহের সহযোগিতা। একইসঙ্গে আমাদের মুসলিম গবেষকদের গৌরবময় অতীত ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ক্রমান্বয়ে একটি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।