‘হতাশ না হয়ে নিজের উপর ভরসা রেখে সামনে আগাতে হবে’

মাহমুদা খাতুন চৈতী
মাহমুদা খাতুন চৈতী  © টিডিসি ফটো

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মাহমুদা খাতুন চৈতী। সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন আমেরিকার উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ক্যাম্পাসে ক্যান্সার গবেষণার জন্য। মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থী থেকে আমেরিকার উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হওয়ার গল্প জানালেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

মাহমুদা খাতুন চৈতী: আমার অনার্স এবং মাস্টার্স দুটাই মাভাবিপ্রবি থেকে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে আমি আমার দ্বিতীয় মাস্টার্স করছি জাপানের শিমানো ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে। জানুয়ারিতে আমি আামার ডিফেন্স দিয়ে মাস্টার্স শেষ করবো। এখানে আমি কাজ করছি করোনা ভাইরাসের ড্রাগ ডিজাইন নিয়ে। রিসেন্টলি আমি উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিন এবং পাবলিক হেলথ এর অধীনে অনকোলজি বিভাগের ম্যাকআর্ডল গবেষণাগারে ক্যান্সার নিয়ে কাজ করার অফার পেয়েছি। আগামী বছরের মার্চে আমার সেখানে জয়েন করার কথা রয়েছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পুরো জার্নিটা জানতে চাই।

মাহমুদা খাতুন চৈতী: বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগটি একটি গবেষণাকেন্দ্রিক বিভাগ। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন আমার একটা টার্গেট ছিলো ভালো একটা রেজাল্ট করবো। সবাই আমাকে বলতো ৩.৫ একটা ভালো রেজাল্ট। সে ভালো ফলাফলের জন্য আমি আমার বিভাগের পড়াগুলো ভালো করে পড়তাম। বেসিক বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করতাম। এছাড়াও শিক্ষকরা আমাদের তাদের বাইরের গবেষণা নিয়ে গল্প শোনাতো। বিভিন্ন দেশ থেকে তারা পিএইচডি, পোস্ট ডক করে এসেছে তাদের একেক জনের অভিজ্ঞতা একেক রকম ছিলো। যখন আমি অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ি তখন আমাদের বিভাগের একজন শিক্ষকের হাত ধরে আমার রিসার্চের শুরু হয়। টিচাররা যখন তাদের বাইরের দেশের গল্প বলতেন তখন মনে হতো আমি যদি সেখানে যেতে পারতাম। তৃতীয় বর্ষ থেকে আমি রিসার্চ শুরু করি। তখনই স্যারের আন্ডারে আমার প্রথম রিসার্চ পেপার পাবলিশ হয়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে আগানো। যারা রিসার্চ করে বা বিভিন্ন রিসার্চ পেপার পড়ে সেখানে বিভিন্ন ফেমাস কিছু ল্যাবরেটরির নাম থাকে আমি ভাবতাম এমন কোনো ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি থেকে যদি আমার পেপার বের হতো তাহলে খুব ভালো লাগতো। পেপার ধরে ধরে যখন পড়তাম তখন দেখতাম উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং আমেরিকায় প্রথম। আমি যেহেতু মাইক্রোবায়োলজিতে পড়তাম তাই আমি বেশিরভাগ ভাইরোলজিই পড়তাম। সেভাবেই আমার উইসকনসিনে আবেদন করা।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: গবেষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর আপনার অনুভূতি

মাহমুদা খাতুন চৈতী: অবশ্যই বলবো খুবই ভালো ছিলো কারণ এতো বড় একটা ইনস্টিটিউশন থেকে অফার পেয়েছি। অনুভুতিটা এজন্যই ভালো কারণ আমি যখন আমার বায়োকেস্ট্রি এন্ড মলিকুলার সাবজেক্টটা পড়তাম অনেক রিসার্চ সম্পর্কে পড়তাম যেগুলো আমি আসলে কখনো চোখে দেখতে পারতাম না বাংলাদেশে। তাই এগুলো চোখে দেখার জন্য হলেও আমার মনে হয় রিসার্চ করা উচিত। ক্যান্সার এখন খুব চ্যালেঞ্জিং একটি রোগ। আমি যদি এটা নিয়ে কাজ করতে পারি তাহলে নিজেকে অবশ্যই সৌভাগ্যবান মনে করবো। এছাড়াও এখারে আমার অনেক কিছু শেখাও হবে যা ভবিষ্যতে আমার কাজে দিবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা গবেষণার ব্যাপারে আগ্রহী কিন্তু সঠিক উপায়টা জানে না। তাদের জন্য গাইডলাইন হিসেবে যদি কিছু বলতেন  

মাহমুদা খাতুন চৈতী: যেহেতু আমাদের দেশের অনেক লিমিটেশনস থাকে রিসার্চের ক্ষেত্রে। যার জন্য শিক্ষার্থীরা প্রথম দিকে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে তখন তারা কোন পথে যাবে, রিসার্চের দিকে আগাবে নাকি জব সেক্টরে যাবে এটা নিয়ে তারা একটা দোটানায় থাকে। আমি বলবো কোনো শিক্ষার্থী যদি রিসার্চ বিষয়ক সাবজেক্টে পড়ালেখা করে প্রথম থেকেই তাকে একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত। সে রিসার্চ করবে নাকি সে জব করবে। রিসার্চ রিলেটেড ফিল্ডে যদি সে থাকতে চায় এখানে শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই। ফার্স্ট ইয়ারে বা সেকেন্ড ইয়ারে এসে সে যখন মাইন্ড সেট আপ দিবে সে অনুযায়ী সে তার সিভি ডেভেলপ করারর চেষ্টা করবে। এই সিভি ডেপেলাপ সে বিভিন্ন সায়েন্টিফিক সেমিনার, হ্যান্ড টু হ্যান্ড ট্রেনিং ইত্যাদি প্রোগ্রাম গুলোতে সে করতে পারে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন যে সংস্থাগুলো থাকে, সায়েন্টিফিক জার্নাল ক্লাব এছাড়াও এ সম্পর্কিত যে ক্লাবগুলো আছে সেখানে তারা যুক্ত হতে পারে। এছাড়াও বিভাগের শিক্ষকরাও এ বিষয়ে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও সিনিয়ররা থাকে অনেক। এভাবে যার আগ্রহ থাকে সে নিজ থেকেই সব খোঁজ নিতে থাকে। আরেকটা বিষয় আমি বলবো যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যদি কেও রিসার্চ ফিল্ডে থাকতে চাই সে নিজে নিজেই অনেক তথ্য বের করতে পারে। সেটা সে কিভাবে একটা সায়েন্টিফিক পেপার পড়বো শিখবে। কি কি ইনফরমেশন জানতে পারলে আমার কাজে দিবে। এভাবে সে ধীরে ধীরে লিখতে পারবে। এছাড়াও পেপারের যে করেসপন্ডিং আছে কারও যদি ইচ্ছা থাকে সে ওই ল্যাবে কাজ করবে বা ওই ফিল্ডে অন্য ল্যাবে কাজ করবে সেখান থেকে সে তার ইমেইল দিয়ে ল্যাব মেয়াম্বারদের ইমেইল করতে পারবে। আমার ক্ষেত্রে আমি প্রথমে কিছু সেমিনার এটেন্ড করি। এছাড়াও আমি জাপানের কিছু আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে আমি আমর রিসার্চের কাজগুলো প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করতাম। কয়েখবার রিজেক্ট হলেও আমি বারবার চেষ্টা করে গিয়েছি। একটা সময় তারা এক্সেপ্ট করে। সেখানে আমি ইয়াং সায়েন্টিস্ট হিসেবে আমার ডাটাগুলো প্রেজেন্ট করি। এভাবে কেও যাদি ধীরে ধীরে আগায় আমি মনে করি যে অবশ্যই ভালো করবে।  

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার কালচারটা এখনো সেভাবে গড়ে না ওঠার কারণ কি হতে পারে?    

মাহমুদা খাতুন চৈতী: এর প্রথম কারণ আমি বলবো যে শিক্ষাব্যবস্থা, সুবিধা, এছাড়াও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ তৈরি না হওয়া। বাংলাদেশের যে শিক্ষা ব্যবস্থা সেখানে বেশিরভঅগ শিক্সার্থীরাই রিসার্চ ওরিয়েন্টেড না। এর কারণ আমাদের কোনো শিক্ষার্থী যদি রিসার্চ করতে চায় দেখা যায় অনেক বাধা থাকে। সে ফান্ডিং পায়না, সে আইডিয়া জেনারেট করে কোনো টিচারকে দেখাচ্ছে সে সেটা ইভালুয়েট করছে না বা পথটা সম্পর্কে সে অবগত না। এই সমস্ত সমস্যাগুলোর জন্য আসলে শিক্ষার্থীরা রিসার্চে আসতে চায়না। কোনো শিক্ষার্থী যদি আইডিয়া জেনারেট করে সেটা আগানোর জন্য তার ফান্ডিং এর প্রয়োজন পরে। তারা সেভাবে সুযোগ পায়না বলে আগাতে পারে না। অন্যান্য দেশে আমি যেটা বলবো যখন স্টুডেন্ট রিসার্চ করে তখন তার ফোকাস থাকে তার বেসিকটা জানানো। বাংলাদেশে আমরা যখন রিসার্চ করতাম আমরা কোনো জার্নাল ক্লাব ছিলো না, বকা আমাদের কোনো প্রোগ্রেস রিপোর্ট ছিলো না এ বিষয়গুলো বাইরের দেশে খুব ভালোভাবে মেইনটেইন করা হয় যেগুলো আমাদের দেশে করা হয় না। আমি বলবো এ কারণেই অন্যান্য দেশ তাদের গবেষণায় আমাদের থেকে এগিয়ে। শিক্ষার্থীরা যে রিসার্চ ওরিয়েন্টেড হতে চায়না তা নয়, তারা হতে চায় কিন্তু যখন তারা দেখে সেখানে অনেক সমস্যা, রিসার্চ অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, তাদের ফ্যামিলিকেও সাপোর্ট দিতে হয়, ভবিষ্যতেও কিছু করতে হবে এইসব চাপে তারা রিসার্চ থেকে সরে যায়। জাপানে দেখা যায় একটা ছেলে বা মেয়ে কোনো পোকা পেলে কিভঅবে বুঝে সেটা মেয়ে নাকি ছেলে? এগুলো তাদের পড়িয়ে শেখানো হয়না। তাদের একটা মাঠে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখানে মাটি খুড়ে তারা বের করে নিয়ে আসে। তারাই পার্থক্য খুঁজে খুঁজে নিজেরা জেনে নেয়। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় থিওরিটি বেশি। অন্যান্য দেশে পড়ালেখায় প্র্যাক্টিক্যাল বেশি। আমি মনে করি এটা একটা বড় পার্থক্য।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাইরের দেশের শিক্ষা ও গবেষণার কালচারের সাথে বাংলাদেশের কি কি পার্থক্য রয়েছে এবং তাদের থেকে বাংলাদেশ কোন কোন দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে?

মাহমুদা খাতুন চৈতী: গবেষণার ক্ষেত্রে আমি বলবো, একটা ল্যাবে যখন একটা রিসার্চ হয়ে যায় তখন সে রিলেটেড কাজ সবাই করার চেষ্টা করে। অন্যান্য দেশের ল্যাবে শুধুমাত্র একটা টপিক বা একটা থিম নিয়ে কাজ হয়না। বিভিন্ন ভার্সাটাইল চিন্তা করে এবং জিনিসগুলোকে তারা ওইভঅবে নিজেরা নিজেরা ডেভেলপ করে। আমাদের দেশে যখন আমরা কোনো রিসার্চের কাজ করি তখন আমাদের ল্যাবে যে স্ট্যাবলিশড কাজগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়েই বার বার কাজ করতে থাকি। অন্যান্য কাজও যে এখান থেকে করা যেতে পারে এগুলো তারা চিন্তা করে না। তাই দেখা যায় যে তাদের রিসার্চ ঘুরে ফিরে এক বিষয় নিয়েই হয়। তারা একটা রিসার্চ প্রজেক্টে মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা ব্যয় করে। যেখানে বাংলাদেশে একটা সায়েন্টিস্ট এক-দেড় লাখ টাকাও পাচ্ছে না একটা প্রজেক্টের জন্য। তাকে যখন বেশি বেশি ফান্ডিং দেওয়া হবে তখন তার চিন্তাভাবনা আরও বেশি থাকে। কিছু রিসার্চ থঅকে যা ইন্সট্রুমেন্টের অভবে করা সম্ভব হয়না। এই লিমিটেশন গুলোর জন্য বাংলাদেশে  পিছিয়ে আছে। আরেকটা দিক হচ্ছে পলিটিক্স। দেখাযায় কেও ফান্ডিংটা পেয়ে সেটা ঠিকভাবে ব্যবহার করছে কি না তার তদারকি করার মতো কেউ থাকে না। আমেরিকায় একটা নির্দিষ্ট কাজের জন্য ফন্ডিং দেওয়ার পর টাইম দেওয়া হয়। সে সময়েল মধ্যে যাদ প্রজেক্ট রান না করা হয় তাহলে জবাবদিহি করতে হয়। প্রোগ্রেস দেখাতে হয়। যদি সেটা না দেখাতে পারে তাহলে তার ফান্ডিংটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে যেটা নেই। এখানেও এমন তদারকির ব্যাপারটা থাকলে আগানো সম্ভব।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার ভবিষৎ পরিকল্পনা ‍কি?

মাহমুদা খাতুন চৈতী: এখন আমার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আমি আমার গবেষণা শুরু করবো। সেখান থেকে এডভান্স যে রিসার্চগুলো তারা সেখানে করে সেগুলো আমি শেখার চেষ্টা করবো। সেগুলো যেন ভবিষ্যতে সবার ভালোর জন্য ব্যবহার করতে পারি তার চেষ্টা করবো। বিশেষ করে আমার দেশের জন্য আমার নলেজ যতটুকু ব্যবহার করা সম্ভব করবো। আপাতত আমার চিন্তা পিএইচডি শেষ করবো, পোস্ট ডক করবো তারপর দেশে ফেরার চেষ্টা করবো।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: তরুণ প্রজন্মের কাছে আপনার বার্তা কি থাকবে?

মাহমুদা খাতুন চৈতী: তরুণ প্রজন্ম যারা ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট তারা দুই ক্যাটাগরির থাকে। কেও থাকে শুধু রেজাল্টকে ফোকাস করে কেও আবার শুধু রেজাল্ট না কতটুকু শিখলো বা জানলো সে অনুসারে তারা আগায়। তারা যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয় তখন একটা ডিপ্রেশনে ভোগে। কি করবে, কিভাবে আগাবে এইসব চিন্তা করে। তাই বলবো তাদের সেকেন্ড বা থার্ড ইয়ার থেকেই চিন্তা করে রাখঅ উচিত যে সে রিসার্চ ফিল্ডে থাকবে নাকি জব সেক্টরে যাবে। সে যদি রিসার্চ ফিল্ডে থাকতে চায় তাহলে তাকে অশ্যই সেখানে ফোকাস করতে হবে। সে যদি চাকরির দিকে আগাতে চায় তাহলে তাকে ওইদিকেই আগাতে হবে। আমি তাদের বলবো ডিপ্রেসড না হয়ে নিজের উপর ভরসা রেখে সামনের দিকে আগাতে হবে। এরজন্য কমিউনিকেশন স্কিলটা অবশ্যই ভালো করতে হবে। কেও অনার্স শেষ করে বুঝতে পারছে না কি করবে সেক্ষেত্রে সে একটা কাজ করতে পারে সে একটা ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ এফিশিয়েন্সি টেস্ট দিয়ে দিতে পারে। যেমন আইএলটিএস, জিআরই বা টোফেল। আরেকটা বিষয় অনেকে জানে না। বায়োলজির শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য জিআরই আবশ্যক না। তারা আইইএলটিএস দিয়ে সহজেই যেতে পারে। কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও তাই। নতুনদের তাদের সিভিটা কম্পেটিটিভ কি না অন্তত সেটা চেক করা উচিত।  


সর্বশেষ সংবাদ