ছেলেদের কম উচ্চতাও ক্যারিয়ারের জন্য এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা
বিজ্ঞানের বিষয়গুলো নিয়ে যাদের আগ্রহ অনেক বেশি তাদের কাছে খুবই প্রিয় একজন ইউটিউবার বা কন্টেন্ট নির্মাতা হচ্ছেন ইমতিয়াজ অর্ণব। তিনি বিজ্ঞানের গল্প বলেন ফেসবুক ও ইউটিউবে। সম্প্রতি তার জীবনের নানাদিক নিয়ে তার সাথে কথা বলেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি তাওফিকুল ইসলাম হিমেল-
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার শৈশব নিয়ে জানতে চাই?
ইমতিয়াজ অর্ণব: আমার জন্ম নেত্রকোণায় ১৯৯৪ সালে। পরিবারে ছোট ভাই আর মা আছেন, আর বাবা মারা গেছেন ২০১৪ সালে। বাবা সরকারি চাকরি করতেন একটা, হেলথ ইন্সপেক্টর ছিলেন আর মা গৃহিণী। এখন নেত্রকোণাতেই আছি আমার মায়ের সাথে আর ছোটভাই ঢাকায় থাকে বিকেএসপিতে খেলে। আমার শৈশব খুব একটা ইন্টারেস্টিং ছিল না, আদার দেন আমি একটু দুষ্ট প্রকৃতির ছিলাম। সাইকেল চালাতে, পুকুরে সাতার কাটতে পছন্দ করতাম।
ছোট্ট মফস্বলে যেভাবে বেড়ে উঠে। বাই দা ওয়ে আমার ফুটবল খেলার খুব ছিল অ্যান্ড ছোট থাকতে আমার হাত-পা অনেকবার ক্র্যাক করছি। অ্যান্ড হাত-পা প্রায়ই ভেঙ্গেই গিয়েছিল। অনেক ডেডিকেটেড ছিলাম আরকি ফুটবল খেলার প্রতি। প্রাইভেট মিস দিয়ে চলে যেতাম ফুটবল খেলতে, স্কুল পালিয়ে চলে যেতাম; এক কথায় ফুটবল খেলার প্রতি একটা ফ্যাসিনেশন ছিল। কলেজ লাইফ পর্যন্ত আমি ভালো ফুটবল খেলছি অ্যান্ড কলেজে আমি গোল কিপারও ছিলাম। সো ফুটবল was a big part of it আর সেই দুষ্টামি করতাম। এইতো খুব বেশি ইন্টেরেস্টিং ছিল না।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার শিক্ষাজীবনের গল্প শুনতে চাই?
ইমতিয়াজ অর্ণব: একাডেমিক লাইফ পুরা messed up. যদি শুরু থেকে বলি, তাহলে মাদ্রাসায় শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হই আমি একবারে ক্লাস ২ পর্যন্ত পড়ি। এরপর একটা সরকারি স্কুল, আঞ্জুমান স্কুলে ভর্তি হই আবার ক্লাস টুতেই যেটা কিনা নেত্রকোণার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ স্কুল। ক্লাস ২ থেকে ৫ পর্যন্ত ওখানেই পড়ি। তারপর ঢাকায় চলে যাই, মিরপুরে থাকছি অনেকদিন। ইচ্ছে ছিল মিরপুরের মনিপুরী স্কুলে ভর্তি হব কিন্তু তখন হঠাৎ করে ঢাকায় গিয়ে পরিবেশটা ভালো লাগেনি। ক্লাস ৬-এর একটা পিচ্চি বাচ্চা, মা বাবা থেকে দূরে, কতটুকুই আর বুঝে সেজন্য সেট করতে পারিনি।
সো আবার নেত্রকোণায় ব্যাক করি অ্যান্ড একটা স্কুলে ক্লাস সিক্সে ভর্তি হই, পরে নেক্সট ইয়ার আরেকটা স্কুলে ক্লাস সেভেনে ভর্তি হই, পরে ক্লাস ৮-এ এক স্কুল, ৯-এ আরেক স্কুলে গেলাম। এখান থেকে এসএসসি দিয়েছি, এরপর নেত্রকোণা সরকারি কলেজে ভর্তি হই। কিন্তু এখানে আমি এইচএসসি দেইনি, চলে গেছি ডিপ্লোমা করতে অ্যান্ড ৪ বছরের এই ডিপ্লোমা করতে আমার সময় লাগছে ৯ বছর। so it is completely messed up. আর গ্র্যাজুয়েশন আমার এখনো শুরুই হয়নি and I’m taking a pause, cause যেহেতু আমার বড় একটা গ্যাপ হয়ে গেছে I have to make money, I have to sustain my life আমার ফ্যামিলিতে যেহেতু বাবা নেই সাপোর্ট দেয়া লাগে আমার ফ্যামিলিতে। so I have to take responsibilities, once I’m done with that আমি যখন settle হব, একটা sustainable career গড়ে তুলবো তখন গ্র্যাজুয়েশনটা করে নিবো।
আর হ্যাঁ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা আপাতত নিতে পারছিনা। because of all the lmitations and rules & regulations, আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ভর্তি হতে পারবো না, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নাই কারণ আমি পলিটেকনিকের স্টুডেন্ট। মাত্র একটাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে আর সেটা হচ্ছে ডুয়েট, আর আমার যেহেতু ইয়ার গ্যাপ আছে আর সিজিপিএ না থাকার কারণে ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফর্মটাই তুলতে পারবো না। তো আমার একমাত্র অপশন হচ্ছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে যাওয়া যেটা আমি অ্যাফোর্ড করতে পারতেছিনা রাইট নাও।
কারণ আমার ফ্যামিলিকে এখানে রেখে ওখানে আমি থাকতেও পারবো না টাকা পয়সার অনেক হিসাব আছে so I’m taking a break,I’ll get back to it. কিন্তু তার পাশাপাশি আমি যেটা করতেছি সেটা হল আমি স্কিল বিল্ড করতেছি and I study on my own এন্ড স্টাডি করা ব্যাপারটাকে যদি আমি বলি there is no greater education than self-driven and নিজ কর্তৃক ধাবিত শিক্ষার থেকে বড় কিছু হয় না তাই আমি নিজে নিজে শিখছি আমার শেখার একটা ড্রাইভ আছে প্রচুর এন্ড আরেকটা জিনিস কি যদি আমি আলোকপাত করি কেন আমার এতটা বছর ইয়ার ড্রপ হয়েছে there are many reasons and one of the reasons হলো আমি যেভাবে করে একটা জিনিস করতে চাই বা বুঝতে চাই কিভাবে আমাকে কেউ পড়ায় না মানে সিস্টেমের সাথে আমার অনেকটা ম্যাচ করে না আমি এমনটা বলবো না যে সিস্টেম টা flawed, of course there are some flaws, but completely flawed বলা যাবে না because there are other people যারা একই সিস্টেমের ভিতর থেকে শাইন করছে তো আমি আমার নিজের দোষটা সিস্টেমের উপর চাপাবোনা। আমার নিজেরও কিছু গাফিলতি ছিল other than that সিস্টেম আমাকে যেভাবে শেখায় lets say ধরেন যে স্টুডেন্টদেরকে একটা storage device হিসেবে ধারণা করা হয় এই যে স্টোরেজ ডিভাইস টা না আমি হতে পারি না যে জিনিসটা আমি একটা গুগল সার্চ করে পাওয়া যায় সেটা আমি কেন মনে রাখবো? চাঁদ কতটুকু দূরে সেটা আমার কেন মনে রাখতে হবে? ইফ আই আন্ডারস্ট্যান্ড দ্য লজ অফ গ্রাভিটি আমি চাঁদ থেকে পৃথিবীর দূরত্বটা ক্যালকুলেট করতে পারব, অরবিট কিভাবে করছে চাঁদ, ইফ আই নো দা লস দ্যাট ইজ গভার্নিং অল দিস তখন আই ক্যান গো বিয়ন্ড অল দ্যা ইনফর্মেশনস That we have দ্যাট আই হ্যাভ টু মেমোরাইজ তো আমি ওইখানে ফোকাস করতাম I need understanding i need conceptual discussion আদার দেন দ্যা facts and the formulas and figures ওগুলো আমার কখনোই ভালো লাগতো না আর ওগুলো আমি মনেও রাখতে পারতাম না।
আমার প্রচেষ্টাটা বুঝতে ভালো লাগতো। আর তার পেছনে মেকানিজমটা বুঝতে ভালো লাগতো। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি না বুঝতাম ততক্ষণ পর্যন্ত আমি ওটার পেছনে সময় দিতাম। ওটা নিয়ে চিন্তা করতাম এবং ঘাটতাম এন্ড ওটা করতে গিয়ে আমি যে এডুকেশনাল সিস্টেমের ভিতরে বিলং করি ওটাকে রিওয়ার্ড করে না এডুকেশনাল সিস্টেম রিওয়ার্ড করে কে কত মনে রাখতে পারে এবং মনে রেখে পরীক্ষার খাতায় ঢেলে দিয়ে আসতে পারে ওভাবে করে হচ্ছে পরীক্ষাগুলো ডিজাইন করা হয়। ক্লাসগুলো ডিজাইন করা হয় at least to some degree general line আর polytechnique line এর মধ্যে there are differences কিন্তু পলিটেকনিকে মুখস্ত বিদ্যাটা খুবই খুবই বেশি চলে। তো ওটার সঙ্গে আমি কোপ আপ করতে পারিনি and that is one of the reasons. আমার এতবার ইয়ার ড্রপ হয়েছে বাট শেষ পর্যন্ত আমি পাশ করছি খুবই বাজে ভাবেই। পাস করছি Anyways it’s all messed up আমি একটা ব্রেক নিছি and in the meantime I’m learning different things আমি ভিডিও মেকিং শিখতেছি অ্যান্ড সাইন স্টাডি করতেছি on my own because I don’t think যে ইনস্টিটিউশন আমাকে লিমিট করে রাখতে পারবে just because যে আমি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে নাই তার মানে এই না যে আমি নতুন কিছু শিখতে পারবো না। হ্যাঁ শেখার কোন বয়স হয় না, শেখার কোন সময় হয় না। একটা মানুষ যেকোনো বয়সে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে শিখতে পারে and internet has made it really easy for people to learn new things its a great tool of course there are unnecessary stuffs on the internet but if u can circumnavigate করতে পারেন কোথায় গেলে আপনি শিখতে পারেন কোন খান থেকে আপনি জানতে পারবেন বুঝতে পারবেন এবং অথেন্টিক ইনফরমেশন পাবেন you can learn amazing stuff from the internet so that’s what I do, একটা অডিও বুক হোক একটা রিসার্চ পেপার হোক কিংবা একটা সাইন্স কনফারেন্স হোক অথবা একটা সাইন্স podcast হোক whatever I find I try to read so yeah that's what I do.
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখন আপনি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে সেলিব্রেটিও বটে। এ যশ-খ্যাতি কীভাবে বজায় রাখেন?
ইমতিয়াজ অর্ণব: আচ্ছা কনটেন্ট ক্রিয়েটার বাট নট এ সেলিব্রিটি। there's a difference between celebrity and content creator. সকল কনটেন্ট ক্রিয়েটর সেলিব্রিটি হয় না ওদের লেভেলটা অনেক উপরে- যেমন আয়মান সাদিককে আপনি সেলিব্রিটি বলতে পারেন যে ‘হি ওয়াজ দা ফাউন্ডার অব ১০ মিনিট স্কুল’। উনি ইন্ডিভিজুয়ালি কনটেন্ট ক্রিয়েট করেন এন্ড উনি একটা সেলিব্রিটি লেভেলে চলে গিয়েছেন। খালিদ ফারহান ভাইও চলে গিয়েছেন, এনায়েত চৌধুরী ভাইও চলে গিয়েছেন; সো ওইখানে এখনো যেতে পারিনি। and I'm trying. আমি নিউ কামার, নিউ কামার বললে ভুল হবে নিউ কামার ফর দা পিপল but to me I’m not a newcomer ২০১৬ সাল থেকে আমি ভিডিও বানাই একটা ফোন দিয়ে এখন আপনি বলতে পারেন যে ২০১৬ সাল থেকে আপনি ভিডিও বানান কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে আপনাকে আমরা চিনি না কেন চিনেন না তার কারণ হচ্ছে তখন ফোন দিয়ে ভিডিও করতাম। ভিডিওস বানাইতাম কারণ তখন বানাইতে ভালো লাগতো তাই বানাইতাম একটা কথা আছে না যে চুলকানি আর প্রতিভা কখনো লুকিয়ে রাখা যায় না তাই আর কি আমার ভালো লাগাটা কোথায় আমার ফ্যাসিনেশন টা কোথায় সেটা আমি আর লুকিয়ে রাখতে পারিনি একটা certain পয়েন্টে গিয়ে সেটা আমি ডিসকভার করছি and that point is 2016 এ গিয়ে আমি ডিসকভার করেছি যে আমার ভিডিও বানাতে ভালো লাগে। রেনডম জিনিসপাতি যা ইচ্ছা তা ভালো লাগতো ওইটা নিয়ে ভিডিওস বানাতাম সো ৯ ভিউজ হয়তো ২৪ ভিউজ হতো যদি কোন কারণে তিন ভিজিটের ভিউজ এসে পড়তো। আর যদি ৯৯ ক্রস করতো তাহলে খুবই খুশি লাগতো তাই ওই নয়জন ২৪ জন বা দেড়শ জনের মধ্যে হয়তো আপনি ছিলেন না তাই আপনি চিনেন না। so yeah celebrity level-এ এখনো যেতে পারিনি তবে বিভিন্ন জায়গায় গেলে মানুষ টুকটাক চিনতে পারে সম্মান করে খুব অ্যাপ্রিসিয়েট করে। এটা খুবই এনজয় করি আর খুব একটা সামাল দেওয়ার মত যশখ্যাতি হয়নি। তাই দেখা যাক সামনে কি হয় আর কি করতে পারি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ইউটিউবিংয়ের বাহিরে আপনি আর কী কী করেন।
ইমতিয়াজ অর্ণব: ইউটিউবিংয়ের বাইরে আপাতত কিছু করছি না। কনটেন্ট ক্রিয়েশনের বাইরে কিছু করতেছি না। ফুল টাইম এটাই করছি, এটা একটু কন্ট্রাডিকটরি মনে হতে পারে। আমি যদি এই জিনিসটাই করি তাহলে আমার এত সময় কেন লাগে এত দেরিতে ভিডিও দেই কেন? its because, আমি তাড়াতাড়ি ভিডিও দিতে চাই না। because I tried it,tried it for years. যে আমি তাড়াতাড়ি ভিডিও বানায় তাড়াতাড়ি ভিডিও আপলোড দিলে কি হয়, it did not work for me. এমন অনেকেই আছেন যে পিরিয়ডিক্যালি ভিডিও দেন এনায়েত ভাই আছেন নাফিস ভাই আছেন তারা সাপ্তাহিক ভিডিও দিয়ে যান it worked for them but আমি experimentally আগে বাকি দেখে ফেলেছি যে সাপ্তাহিক ভিডিও দিলেই আমার হয় না its a misconception যে বেশি ভিডিওস দিলে বেশি ভিউজ আসবে, ইউটিউব অ্যালগরিদম বা ইউটিউব রেকমেন্ডেশন নিয়ে যারা কাজ করে তাদের সাথে আমি কথা বলেছি তাদের থেকে আমি জানতে পারছি যে একটা ভিডিওর পর আরেকটা ভিডিও যখন আপলোড দিবেন সেটা কতজন মানুষের কাছে পৌঁছাবে এবং কতটুকু রিচ পাবে that does not depend on the duration gap যে যে ফ্যাক্টর গুলার উপর রিচ ডিপেন্ড করতেছে সেই ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে এই টাইম গ্যাপটা কোন ফ্যাক্টর না।
সো আমি সময় নিয়ে ভিডিও বানাতে পছন্দ করি and I enjoy the process of making videos when you enjoy something আপনি সেটা সর্বোচ্চ সময়ে করতে চাইবেন। যেমন একজন সুন্দর কোন মেয়ের সাথে আপনি ডেটে বসে আছেন আর কফি খাচ্ছেন or whatever আপনি চাইবেন ওই সময়টাকে স্ট্রেচ করতে, as much as possible. ভিডিও মেকিংয়ে সেম ফর্মেই আমার একটা ভিডিও বানাইতে অনেক ভালো লাগে। আমি যখন বানাই তখন আমি এনজয় করি আমাকে এত পরিমান ডোপামিন দেয় যে I enjoy the process so I keep putting in my time অ্যান্ড আপাতত এটাই আমি করতেছি এর বাইরে কিছু করা হচ্ছে না। হ্যাঁ ফ্যামিলি সামাল দেওয়া লাগে এবং যাবতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য তো আছেই পরিবারের প্রতি। সো ওটার বাইরে আর প্রফেশনাল লাইফে আর কিছু করছি না।
আমি ভিডিও মেক করি এবং ভিডিও স্টাডি করি। অন্যান্য ক্রিয়েটরদের ভিডিও স্টাডি করি অ্যালগরিদম স্টাডি করি and that’s what I do and all into video making. তার পাশাপাশি আমি একটা ওয়েবসাইট বিল্ড করার ইচ্ছা আছে একটি অথবা দুটি। অলরেডি আমি একটা ডোমেন কিনেছি এবং কথাবার্তা চলছে। দেখি সামনের বছর আমি একটা ওয়েবসাইট চালু করব এবং একটা বিজনেস দাঁড় করানোর ইচ্ছা আছে। আমি খুবই ধীর গতিতে এগিয়ে যাবো, দেখা যাক সামনে কি হয়।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার চাকরির চেয়ে কন্টেন্ট বানানোয় বেশ আগ্রহ। এটা কেন? আপনিও তো চাইলে বিসিএস ক্যাডার হতে পারতেন?
ইমতিয়াজ অর্ণব: আচ্ছা চাকরি থেকে কনটেন্ট বানানোর কেন বেশি ইচ্ছা এটা আমি আপনাকে একটা এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করি। I got a full time job offer from an adtech company as a content creator ওরা হচ্ছে they don't want my certificates, they don't want my academic life তারা শুধু স্কিলস চায় এন্ড তাদের রিকোয়ারমেন্টের সাথে আমার স্কিল গুলো ম্যাচ করেছে they reached out to me and they offered a job যাইহোক আমি বলতে চাচ্ছি না কোন কোম্পানি বাট আমার goals,dreams and ambition এর সাথে তাদের অফারটা লাইন আপ করেনি so I didn't join সেলারি টা ভালো ছিল কারণ আমি কনটেন্ট মেকিংটাকে সবচেয়ে বেশি এনজয় করি নিজের মতো করে কনটেন্ট বানাবো তাদের ছাতার নিচে যদি আমি চলে যাই তখন আমি নিজের মতো করে এনজয় করে কনটেন্টটি বানাতে পারবো না ৫০টি ডিসিশন থাকবে যে এই জায়গাটা চেঞ্জ করো ওই জায়গাটা চেঞ্জ করো এটা করো ওটা করো সো ওটা আমি চাইনা। I want to be my own boss. সো এটা হচ্ছে একটা এঙ্গেল আর আরেকটা এঙ্গেল হচ্ছে ওই যে বললাম না ২০১৬ সাল থেকে যে আমার একটা কনটেন্ট বাড়ানোর একটা ইচ্ছা একটা আগ্রহ তখন তো কোন অডিয়েন্স তো ছিল না এটা থেকে যে টাকা আসতে পারে এই কনসেপ্ট টাও ছিল না হ্যাঁ, দেখতাম যে মানুষ টাকা-পয়সা অর্জন করছি কিন্তু ওই রকম কোন এইম ছিল না আমি বানাতাম কারণ এটা আমার ভালো লাগে। I can’t help it মানে when you love something you do it anyway মানে টাকা দিলেও আপনি কাজটা করবেন টাকা না দিলেও আপনি কাজটা করবেন তো এখানেই আর কি এখান থেকে কন্টেন্ট মেকিং এর থেকে যাওয়া আর বিসিএস ক্যাডার ভাইয়া আমি তো আসলে গ্র্যাজুয়েশন করিনি ওইটা অনেক দূরের জিনিস বাট করলেও ওটার প্রতি আসলে আমার এইম ছিল না কারণ যার যেখানে পটেনশিয়াল, let’s say একটা মাছকে যদি আপনি জাজ করেন সে কত তাড়াতাড়ি একটা গাছে উঠতে পারে তাহলে মাছ ফেল করবে কারণ মাছ গাছে উঠে না গাছে উঠে বানর সো আমি হচ্ছে সেই মাছ যাকে হচ্ছে ওই পানিতে রাখতে হবে গাছে নিয়ে গেলে হবে না সো আমি পানিতেই থাকতে চাই আর এই পানি টাই হচ্ছে আসলে কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর কি সো এখানে আজীবন থাকতে চাই যতদিন শক্তি সামর্থ্য আছে যতদিন মানুষ আমাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করে ততদিন হচ্ছে আমি কনটেন্ট ক্রিয়েশন জার্নিটা as much as possible আমি stretch করার চেষ্টা করব.
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বলা হচ্ছে, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ফলে মানুষের ভবিষ্যত জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। সে সময়টাতে টিকে থাকতে এখন থেকে কি কি ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার?
ইমতিয়াজ অর্ণব: আচ্ছা তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ফলে মানুষের জীবনে যেসব চেঞ্জগুলো আসে এটা কিন্তু নতুন না, it has been that way all along. আপনি যদি ancient টেকনোলজির দিকে তাকান যেমন চাকা যখন উদ্ভাবন হইল মানুষের ওয়ে অফ লিভিং পাল্টাই গেছিল পজিটিভলি ইম্প্যাক্ট করেছিল lets say মানুষ যখন থেকে আগুন আবিষ্কার করল এরপর থেকে মানুষের ব্রেইন expand করা শুরু করছে কারন আমাদের এন্সেস্টররা যে কাঁচা মাংস খাইতো সারাদিন ওরা যখন আগুন জ্বালাতে পারছে মাংসটাকে রান্না করে খাওয়া শিখছে রান্না করে খাইলে কি হয় যে ওটাকে ডাইজেস্ট করতে মানে আমি যেই food খাইতেছি ওটা যদি রান্না না হয়ে কাঁচা food’টা যায় lets say কাঁচা মাংসটা খাই তখন হচ্ছে কি ওই ফুড এর যেই এনার্জি কনটেন্ট আছে ওটারই অনেকটা এনার্জি খরচ হয়ে যায় জাস্ট রান্নাটা করতে মানে রান্নাটা পেটের ভেতর গিয়ে ডাইজেস্ট হতে আর মানে সোজা বাংলায় রান্না বলছি তো ওটা যখন আমরা বাইরে থেকে রান্না করে পরে নিব it is much more efficient, energy efficient আর কি সো আমরা যখন রান্না করে খাওয়া শিখলাম জিনিসপত্র আগুনে পুড়ায় বা রান্না করে তখন হচ্ছে মানুষের ব্রেইন expand করতে শুরু করছে তাই প্রত্যেকটা আবিষ্কার, প্রত্যেকটা উদ্ভাবন কিন্তু মানুষের জীবনকে somehow impact করে lets say একটা টাইমে কিন্তু লিফট এর ড্রাইভার ছিল আপনি জানেন কিনা আমি জানিনা একটা সময় লিফটের ড্রাইভার ছিল যে ম্যানুয়ালি একজনের হচ্ছে সবকিছু হ্যান্ডেল করা লাগছে যে কে কে কোন ফ্লোরে যাবে ম্যানুয়ালি লিফট থামায়ে ম্যানুয়ালি খুলে ম্যানুয়ালি লাগায়ে ম্যানুয়ালি লিফট চালু করতে হতো। এখন তো অটোমেটিক জাস্ট একটা বাটন প্রেস করব আর সবকিছু অটোমেটিক হচ্ছে এই যে লিফট অটোমেটেড হওয়ার পরে লিফ্ট ড্রাইভারদের কিন্তু জব চলে গেছে রাইট? তারপর lets say বন্দুক আসার পরে তলোয়ার চালানোটা কিন্তু obsolete হয়ে গেছে, এখনো ওটা আছে। হ্যাঁ কিন্তু ওটা একটা আর্ট লাইক আপনার তলোয়ারের অনেক কিল কিন্তু আমি তো ৫০ মিটার দূরে থেকে আপনাকে বন্দুক মেরে ফেলে দিতে পারব। সো প্রত্যেকটা invention প্রত্যেকটা টেকনোলজি কিন্তু মানুষকে চেঞ্জ করে আসছে its nothing new. The only difference is এখন প্রযুক্তির যেই প্রোগ্রেসটা ওটা খুবই রেপিড আপনি চিন্তা করেন মানুষ আগুন জ্বালাতে লাখ লাখ বছর আগে, আগুন জ্বালানো থেকে শুরু করে চাকা উদ্ভাবন করতে লাগছে অনেক সময় মানে লাখ লাখ বছর লাগছে মানুষের আগুন থেকে চাকা উদ্ভাবন করতে আর এই টাকা থেকে ইঞ্জিনে আসতে আমাদের কিন্তু বেশি সময় লাগেনি।
২০০ বছর আগে আমরা কিন্তু চাকার উপর ইঞ্জিন লাগাইতে সফল হয়েছি জেমস ওয়াটের ইঞ্জিন। এই চাকার উপর ইঞ্জিন লাগালো তারপর ওই ইঞ্জিন নিয়ে আকাশে উঠতে আরো কম সময় লাগছে ওই ইঞ্জিনে আকাশ থেকে বের হয়ে মহাকাশে অন্য গ্রহে যেতে আরও কম সময় লেগেছে। so the changes are rapid right now. এখন এআই যে বুম করতেছে এটা যে কত জায়গায় ইম্প্যাক্ট করবে প্রত্যেকটা জায়গাকে, প্রত্যেকটা ফিল্ডকে ইম্প্যাক্ট করবে এন্ড এইটাকে যদি আমরা ভয় পাই তাহলে দুর্বল হবো। আমাদের উচিত আমরা যে যেই ফিল্ডে কাজ করছি ওই ফিল্ডের যেন আমাদের সব ins and outs জানা থাকে আমরা যতটা স্ট্রং হতে পারব আমাদের রিপ্লেস হওয়ার চান্সটা ততটাই কমে যায়। কারণ এআই থাকলেও হিউম্যান টাচের দরকার পড়ে। এইআই আছে এইআই খুব অ্যামেজিং জিনিসপাতি করতে পারে কিন্তু এইআইকে তো একটা কমান্ড দেওয়া লাগে যে এটা করে দাও ওটা করে দাও। সো আপনাকে একজন ভালো কমান্ডার হতে হবে আপনি কমান্ডার তখনই হতে পারবেন যখন আপনার স্কিলস থাকবে একটা পার্টিকুলার ফিল্ডে skills যদি না থাকে lets say Photoshop যদি আমাকে এনে দেন যে ফটোশপে তো এখন generative AI চলে এসেছে সো ফটোশপ আপনি আমাকে এনে দিলেন আমি কিন্তু পারবো না যে এই ফটোশপকে prompt দিয়া জোস একটা জিনিস বের করে নিয়ে আসতে যে ব্যক্তি আমার থেকে বেশি দিন ধরে যেমন পাঁচ বছর ধরে ফটোশপে কাজ করতেছে সে কিন্তু আমার থেকে বেটার prompt চিন্তা করতে পারবে ও হয়তো বলবে ভাই এইখানের hue saturation টা এইভাবে manipulate কর আমি হয়তো তারে অন্য একটা prompt দিলাম যে একটা বিড়াল আপেল খাচ্ছে এমন একটা ইমেজ বানায় দাও ও আমারে দিবে বানায় কিন্তু যে গ্রাফিক্স ডিজাইনার সেই ওটার ভেতরেও আরও অনেকভাবে অ্যাডজাস্ট করতে পারবে, অনেক ক্রিয়েটিভলি থিঙ্ক করতে পারবে। ওই জায়গায় তো প্রত্যেকটা ফিল্ডে আমাদের উচিত যে বেস্ট ইউসেজটা জানা, এআই এর বেস্ট ইউসেজটা জানা কারণ আপনি যদি জেদ করে এআই ইউজ না করেন টেকনোলজি ইউজ না করেন তাহলে যে করছে সে আপনার থেকে এগিয়ে যাবে। so its not a race against AIs its a race against other people. যে ও এআই ইউজ করছে ওর থেকে কত বেটার আমি ইউজ করতে পারি It has always been like that যে নতুন টেকনোলজি আসলে নতুন ওই টেকনোলজির সাথে নিজেকে এডাপ্ট করা। সো ইয়া এটা অনেক পুরনো খালি ডিফারেন্সটা হল চেঞ্জগুলো এখন অনেক রেপিড।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখন পর্যন্ত আপনি আপনার জীবনে কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন?
ইমতিয়াজ অর্ণব: জীবনে প্রতিবন্ধকতার গল্পটা অনেক বেশি বড় হয়ে যাবে। তবে আমি যদি সংক্ষিপ্ত করে বলি এই যে ভালো এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকাটা একটা প্রতিবন্ধকতা। তারপর মফস্বল শহরে থাকা আমাদেরকে প্রগ্রেস করে যেতে হবে, এটাও একটা প্রতিবন্ধকতা। মানুষ যে যাই বলুক আপনি গ্রামে যদি থাকেন এটা অনেক underprivileged একটা সিচুয়েশনে বসবাস করা rather than ঢাকা। ঢাকায় থাকা মানে একটা privileged সিচুয়েশন এন্ড এটা আমি হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছি। anyways আরেকটা প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে টাকা পয়সা রিলেটেড একটা প্রতিবন্ধকতা ছিল ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিসের মধ্যেই সারা জীবন বড় হয়েছি এন্ড এখনো সেটা আছে। ফ্যামিলিতে বাবা না থাকলে সেটা থাকে আর হচ্ছে এখন একটু একটু কাটায় উঠতে পারছি। তবে এই বছর (২০২৩ সাল) পর্যন্ত এটা ছিল এখন আস্তে আস্তে ২০২৪ সাল থেকে আমার পেছনে ফিরে থাকানো লাগবে না। এটা একটা প্রতিবন্ধকতা ছিল তারপর আমার না প্রচন্ড পরিমাণে ফোকাস পোলিং হয় মানে একটা জিনিসের মধ্যে বেশিক্ষণ ধরে ফোকাস ধরে রাখতে পারি না।
তারপর হচ্ছে উচ্চতা না থাকাটা একটা প্রতিবন্ধকতা। আমার উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির একটু কম। একটা ছেলে মানুষের উচ্চতা না থাকাটা একটা প্রতিবন্ধকতার মতোই কাজ করে ঠিকই। মানুষ যে যাই বলুক এটা এক্সপেরিমেন্ট আমি করেছি। আমি অন দা ফিল্ড এক্সপিরিয়েন্স করে তারপর বলছি আর কি... so yeah there are other things যেগুলো আমি এখানে বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না। প্রত্যেকটা মানুষের যেমন প্রতিবন্ধকতা থাকে আমারও সেই রকম আছে অনেকের চাইতে বেশি আছে অনেকের চাইতে কম আছে। ভালো-মন্দ মিলিয়েই জীবন ওভাবে করে এগিয়ে যাচ্ছি আর কি এই মেন্টালিটি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র ভালো কনটেন্ট নির্মাণ করে কি সচ্ছলভাবে চলতে পারবে কিনা?
ইমতিয়াজ অর্ণব: হ্যাঁ। অবশ্যই সম্ভব তবে ভালো কন্টেন্ট নির্মাণ করতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে আয় হয় কেমন?
ইমতিয়াজ অর্ণব: কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে ভালোই আয় হচ্ছে। আমি বলবো, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। সামনে আরও বাড়বে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ইমতিয়াজ অর্ণব: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের জন্যও শুভ কামনা। ধন্যবাদ।