করোনায় নতুন দুই চিকিৎসা পদ্ধতির অনুমোদন

করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস  © সংগৃহীত

বিশ্বে আবার নতুন করে বেড়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। এই সময়ে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু প্রতিরোধ করতে আরও নতুন দুই চিকিৎসা পদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। টিকার পাশাপাশি নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। এ খবর দিয়েছে এএফপি।

প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের বরাতে বলা হয়, করোনায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের কর্টিকসটারয়েডস নামে একটি ওষুধের সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের ওষুধ বারিসিটিনিব প্রয়োগ করলে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। মৃত্যুর ঝুঁকিও কমে যাবে।

যারা বয়স্ক, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম কিংবা ডায়াবেটিসের মতো কোনো রোগে ভুগছেন, তাদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে বিশেষজ্ঞরা সিনথেটিক অ্যান্টিবডি চিকিৎসাপদ্ধতি সট্রোভিম্যাবের সুপারিশ করেছেন।

আরও পড়ুন- ভিসির সাক্ষাতে অসন্তুষ্ট ছাত্রীরা, ফের বিক্ষোভ

তবে করোনা সংক্রমিত যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার ঝুঁকি কম, তাদের ক্ষেত্রে সট্রোভিমাব প্রয়োগের খুব বেশি প্রয়োজন নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রনের মতো করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে এটি কতটা কার্যকর, তা এখনো নিশ্চিত না।

গত বছর করোনাভাইরাসের আরও তিনটি চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে করোনাভাইরাস সংক্রমিত গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসায় কর্টিকসটারয়েডসের প্রয়োগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায়। কর্টিকসটারয়েডের দাম কম। গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে এটি দ্রুত কার্যকর।

গত বছরের জুলাইয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায় আর্থ্রাইটিসের আরও দুটি ওষুধ টসিলিজুম্যাব ও সারিলুম্যাব। তবে এসব ওষুধ থেকে নতুন অনুমোদন পাওয়া বারিসিটিনিব কিছুটা আলাদা।

আরও পড়ুন- বেশি আসন কমছে কলা অনুষদে, বাড়ছে বিজ্ঞানে

গত বছরের সেপ্টেম্বরে সিনথেটিক অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতি রেজেনিরন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে। বলা হচ্ছে, একই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে একইভাবে কার্যকর হবে সট্রোভিম্যাব।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হিসাবে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১৬ জন। বেড়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৩২ জন। এছাড়া একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৬ জন।