করোনা চিকিৎসায় নতুন তিনটি ওষুধের ছাড়পত্র

করোনা চিকিৎসায় নতুন তিনটি ওষুধের ছাড়পত্র
করোনা চিকিৎসায় নতুন তিনটি ওষুধের ছাড়পত্র  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় তিনটি নতুন ওষুধকে ছাড়পত্র দিল ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইডেনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ওষুধগুলো তৈরিতে কাজ  করছে। ওষুধ তিনটির সেবনবিধিতে ভিন্নতা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) কোভিড চিকিৎসায় এমন আশার কথা শুনিয়েছে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ)। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুইটি নতুন ওষুধ কোভিডের সাধারণ চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি ওষুধ কেবলমাত্র অতি জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে।

পড়ুন: মডার্নার করোনা টিকা অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

কী কী ওষুধ

প্রথম ওষুধটির নাম জেভুডি। যুক্তরাজ্যের ওষুধ প্রস্তুতকারক গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এবং মার্কিন সংস্থা বির বায়োটেকনোলজি যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধটি তৈরি করেছে। বৈজ্ঞানিক ভাষায় ওষুধটি মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি মেডিসিন। ইএমএ জানিয়েছে, এই ওষুধ ব্যবহার করলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন অনেকটাই কমানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পড়ুন: ১০০ বছরের চেষ্টায় মিললো ম্যালেরিয়ার প্রথম টিকা

গবেষণাগারে তৈরি প্রোটিনজাত এই ওষুধ প্রথম কোভিডের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়নি। এর আগে ইএমএ এই ধরনের আরো দুইটি ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়েছিল।

দ্বিতীয় ওষুধটির নাম কিনারেট। সুইডেনের ফার্মা কোম্পানি বায়োভিটরাম তৈরি করেছে এই ওষুধটি। শ্বাসনালীর জন্য তৈরি হয়েছে এই ওষুধ। কোভিড ভাইরাস শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে গিয়ে ফুসফুসে বাসা বাঁধে। সে কথা মাথায় রেখেই শ্বাসনালীকে ভাইরাসমুক্ত রাখার জন্য তৈরি এই ওষুধ কোভিডের চিকিৎসায় যথেষ্ট কার্যকরী বলে মনে করছে ইএমএ।

পড়ুন: করোনার টিকা ও তরুণদের ভাবনা

তৃতীয় ওষুধটি তৈরি করেছে ফাইজার। এই ওষুধটি নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। তবে ইএমএ জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে এই ওষুধটি দেওয়া যেতে পারে। তবে ছোটদের জন্য এই ওষুধ নয়।

যাদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে না কেবল তাদেরই এই ওষুধ দেওয়া যাবে। ওষুধের নাম প্যাক্সলোভিড। কোভিডের লক্ষ্যণ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে এই ওষুধের ব্যবহার শুরু করে দিতে হবে।

পড়ুন: ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ইউরোপীয় কমিশনের ছাড়পত্র

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্থা ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি। তারা ছাড়পত্র দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় কমিশনকে ছাড়পত্র দিতে হবে। তারপরেই বাজারে আসবে তিনটি নতুন ওষুধ। ওমিক্রন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ইউরোপ।

ফ্রান্স যুক্তরাজ্য থেকে সে দেশে ঢোকার ব্যাপারে কড়াকড়ি শুরু করেছে। জার্মানি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ চলছে। এই পরিস্থিতিতে তিনটি নতুন ওষুধ মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে। [সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা]


সর্বশেষ সংবাদ