এবার কলকাতায় চীনের এইচএমপিভি শনাক্ত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১০ AM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৮ AM
ভারতের বেঙ্গালুরুর পর এবার কলকাতায়ও শনাক্ত হয়েছে চীনে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাস হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। সোমবার (৬ জানুয়ারি) কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক শিশুর শরীরে শনাক্ত হয় এ ভাইরাস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা বা কোভিডের মতোই ছড়ায়। কাশি, হাঁচি, এবং সংক্রামিত স্থানে হাত দেওয়া থেকে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে বা তার কাছাকাছি গেলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে।
এই ভাইরাস সাধারণত শিশু, বয়স্ক এবং ইমিউনোকম্প্রোমাইজড (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম) ব্যক্তিদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে। শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, এই ভাইরাসের প্রতি সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে।
সম্প্রতি চীনে এই ভাইরাসের একটি রূপের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও।
এইচএমপিভির উপসর্গগুলো কী?
এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। গুরুতর ক্ষেত্রে, ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।
কীভাবে ছড়ায়?
এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে রয়েছে-
>> কাশি এবং হাঁচি থেকে নিঃসরণ।
>> হাত মেলানো বা স্পর্শ করা।
>> সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।