কত দিনের মধ্যে স্টারলিংক দেশে আসবে, জানালেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:০২ PM , আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:৩১ PM

‘আমরা বলেছি, ৯০ দিনের মধ্যে আমরা স্টারলিংককে দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করব। আর্থ স্টেশন তৈরি করতে হবে। তবু আশা করি, এই ৯০ দিনের মধ্যেই আমরা সবাই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করব।’
গণমাধ্যমে এক সাক্ষৎকারে বাংলাদেশে স্টারলিংক এলে কী লাভ হতে পারে? কবে আসতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি আরও বলেন, ‘স্টারলিংক এলে যে সেবাগুলো তারা দেবে, তার মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে ইন্টারনেট। নিঃসন্দেহে স্টারলিংকের সুবিধা হচ্ছে, সেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে।’
স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশের যে ফাইবার নেটওয়ার্ক, এর ‘ক্যারেক্টারিস্টিক’টা হচ্ছে ব্যাকবোনে মাটির নিচে টেলকো গ্রেডের ফাইবার আছে। কিন্তু শেষ প্রান্তে অর্থাৎ গ্রাহক প্রান্তে যে ওভারহেড ফাইবার আছে, যেগুলো আসলে টেলকো গ্রেডের নয়। এ কারণে এরা ভালো সেবা দিতে পারে না।’
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রশ্ন, যা বললেন মুখপাত্র
‘বাংলাদেশে প্রায় ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে। সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ আছে, তাতেও সমস্যা আছে। হাইওয়ে মোবিলিটি কাভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে।’
স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের কি ব্যবসা হারানোর কোনো শঙ্কা রয়েছে? বিদেশি কোম্পানির হাতে ইন্টারনেট চলে যাবে কি না?
এমন প্রশ্রে জবাবে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘এখন স্থানীয় যারা আছেন, তারা যদি বছরের পর বছর ধরে নিম্নমানের ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকেন, সেখানে তারা কীভাবে তাদের নিজেদের বাজার ধরে রাখবে? সেটা নিয়ে তাদের চিন্তা করা উচিত। আমি তাদের প্রথমেই বলে দিয়েছি, স্টারলিংক এলে প্রিমিয়াম কাস্টমারদের মাইগ্রেশনের একটা পথ দিতে হবে। কারণ, এখানে দামের চেয়ে মান গুরুত্বপূর্ণ। এনজিওকর্মী, ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা কিংবা করপোরেট, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে যারা কাজ করেন, আমাদের যে ছাত্ররা কনটেন্ট তৈরি করেন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে আমরা একটা মাইগ্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা দেখি।’
স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের কি ব্যবসা হারানোর কোনো শঙ্কা রয়েছে? বিদেশি কোম্পানির হাতে ইন্টারনেট চলে যাবে কি না?
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত জাবির ২৮৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত
এমন প্রশ্রে জবাবে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘এখন স্থানীয় যারা আছেন, তারা যদি বছরের পর বছর ধরে নিম্নমানের ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকেন, সেখানে তারা কীভাবে তাদের নিজেদের বাজার ধরে রাখবে? সেটা নিয়ে তাদের চিন্তা করা উচিত। আমি তাদের প্রথমেই বলে দিয়েছি, স্টারলিংক এলে প্রিমিয়াম কাস্টমারদের মাইগ্রেশনের একটা পথ দিতে হবে। কারণ, এখানে দামের চেয়ে মান গুরুত্বপূর্ণ। এনজিওকর্মী, ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা কিংবা করপোরেট, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে যারা কাজ করেন, আমাদের যে ছাত্ররা কনটেন্ট তৈরি করেন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে আমরা একটা মাইগ্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা দেখি।’
তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘এখনো যেহেতু ৯০ দিন সময় আছে, আইএসপি (ইন্টারনেট সংযোগদাতা) কোম্পানিগুলো চাইলেই সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে পারে। অবশ্যই তাদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’
স্টারলিংকের দাম নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দামের ক্ষেত্রে আসলে স্টারলিংকের দাম বেশি হবে। কিন্তু স্টারলিংকের সঙ্গে যখন আইএসপির প্রতিযোগিতা হবে বা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের প্রতিযোগিতা হবে, তখন দামের বিষয়টা আসবে না। আসবে মানের বিষয়। সে ক্ষেত্রে তারা যদি এই ৯০ দিনের মধ্যে মান নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে দেশীয় বিনিয়োগের বিষয়গুলো নিরাপত্তা পাবে। তবে মোবাইল ইন্টারনেট তো পুরোটা দেশীয় বিনিয়োগ নয়। আইএসপির ক্ষেত্রে কিছুটা দেশীয় বিনিয়োগ, তবে সেই পরিমাণটা খুবই ছোট।’
‘এনটিটিএনের (ন্যাশনওয়াইড ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) ক্ষেত্রে যারা একচেটিয়া ব্যবসা করতে চান, তারা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জে পড়বেন। কারণ, আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব, স্টারলিংকের যে ডেটাফিডটা হবে, সেটা সাবমেরিন কেব্ল থেকে হবে। তবে স্টারলিংক যেহেতু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বড় প্রতিষ্ঠান, তাদের স্বাধীনতা থাকবে। তারা স্থানীয় পরিবেশকদের সঙ্গে কাজ করবে। স্বাধীনভাবেই তারা সবকিছু করবে।’
স্টারলিংকের ওপর সরকার বা বিটিআরসির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বলেও জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।