কঙ্গনার চলচ্চিত্রে মুজিবের সংলাপ নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনার ঝড়

কঙ্গনা রানাওয়াত অভিনীত ও পরিচালিত ‘ইমার্জেন্সি’ চলচ্চিত্রে আছে শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্র
কঙ্গনা রানাওয়াত অভিনীত ও পরিচালিত ‘ইমার্জেন্সি’ চলচ্চিত্রে আছে শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্র  © সংগৃহীত

বলিউডের ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা রানাওয়াত। বছরজুড়েই আলোচনা-সমালোচনায় ঘেরা থাকেন এই অভিনেত্রী। এবার তার নতুন সিনেমা নিয়ে নতুন বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী। কঙ্গনা রানাওয়াত অভিনীত ও পরিচালিত ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তি পেয়েছে ১৭ জানুয়ারি। এই ছবি মুক্তির পর নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী। সেই বিতর্কের আঁচ ভারত ছাড়িয়ে এসে পড়েছে বাংলাদেশেও। কারণ তার ছবিটিতে আছেন শেখ মুজিবুর রহমান চরিত্রও। এ চলচ্চিত্রে মুজিবের সংলাপ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালে, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি ছিল দেশটিতে। সেই প্রেক্ষাপটে নির্মিত সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’। এতে ইন্দিরা গান্ধী চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। আর শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋষি কৌশিক। 

‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় দেখানো হয়েছে কেন জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেন ইন্দিরা গান্ধী। একটি অধ্যায়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও শেখ মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গ। সিনেমায় উল্লেখ করা হয়, পশ্চিম পাকিস্তানের সেনারা যখন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছিল, তখন ভারতে প্রবেশ করেছিল প্রায় এক কোটি শরণার্থী। আশঙ্কা করা হয়েছিল ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির। সেটা ঠেকাতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। 

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিবুরের চরিত্রে অভিনয় করা ঋষি কৌশিকের মুখে শোনা যায় ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতের প্রতি আনুগত্যমাখা সংলাপ। সংলাপটি ছিল এ রকম, ‘ভারতমাতা আমাদের জন্মভূমি বাংলার জন্ম দিয়েছে। আমি শপথ নিচ্ছি, যত দিন এ দেশে ব্রহ্মপুত্রে পানি বয়ে যাবে, যত দিন আমরা বাংলা বলব, তত দিন ভারতের আনুগত্য স্বীকার করব। তোমরা ইন্দিরা গান্ধীর এমন জয়ধ্বনি করো, যেন দিল্লি পর্যন্ত শোনা যায়।’

ঋষির মুখের এই সংলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনার। অনেকেই কঙ্গনাকে উদ্দেশ করে মন্তব্য করছেন, আপনি যে রাজনৈতিক দলকেই সমর্থন করেন, এমন মিথ্যা কাহিনি মেনে নেওয়া যায় না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও তাকে হত্যার যে দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গেও প্রকৃত ঘটনার কোনো মিল নেই।


সর্বশেষ সংবাদ