ঢাবিতে চট্টগ্রাম কর্পোরেট ক্ল্যানের সাংস্কৃতিক সমঝোতা অনুষ্ঠিত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৭ PM , আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৭ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মল চত্বরে চট্টগ্রাম কর্পোরেট ক্ল্যান পরিবারের উদ্যোগে এক মনোমুগ্ধকর সংগীত ও সাংস্কৃতিক সমঝোতার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন ক্ল্যান পরিবারের সভাপতি আরকানুল ইসলাম রূপক এবং সঞ্চালনা করেন সাইফুল ইসলাম জয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এক্সপার্টস হাবের (রাইটিং এজেন্সি) মালিক রায়হানুল হক। তিনি বলেন, দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সংগীত আমাদের জাতির মূল পরিচয় বহন করে। বর্তমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে সংস্কৃতির প্রসারই হতে পারে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
আয়োজনটির মূল লক্ষ্য ছিল দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সংগীত এবং সংস্কৃতির ভূমিকা তুলে ধরা। সভাপতির বক্তব্যে আরকানুল ইসলাম রূপক বলেন, ক্যাম্পাসের নানা ফ্যাসিবাদী আন্দোলনের সময় গঠিত সামাজিক সংগঠনগুলোর মধ্যে একমাত্র আমাদের ক্ল্যান পরিবার কোনো ছাত্রলীগের লিয়াজোঁ ছাড়াই টিকে আছে। ফলে আমাদের কোনো রিফর্মেশনের প্রয়োজন হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি, সবার সহযোগী আচরণ থাকলে এই সংগঠনের ভবিষ্যৎ যাত্রা আরও সুগম হবে।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান এবং বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংগীত প্রাধান্য পায়। আঞ্চলিক সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী শেখ সাজ্জাদ ফাহিম, আধুনিক গানের পরিবেশনায় ছিলেন একুশ দত্ত এবং ভোকাল হিসেবে ছিলেন এফবিএস মিউজিক উইং-এর সদস্য এইচ এ রবিন, যিনি একজন ব্যান্ড শিল্পী হিসেবে পরিচিত। তাঁদের সুরেলা পরিবেশনা দর্শকদের মন জয় করে নেয় এবং দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সামনে তুলে ধরে।
আলোচকদের মতে, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং সংগীত কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। পর্যটন ও সৃজনশীল শিল্পের প্রসারে এর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া সাংস্কৃতিক উৎসব ও সমঝোতা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করে এবং জাতীয় উন্নয়নে সহযোগিতা করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও উল্লেখ করেন যে, দেশের ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় পরিচয় এবং সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে সংস্কৃতিকে উন্নয়নের অংশ হিসেবে কাজে লাগানো সম্ভব।
সাংস্কৃতিক এই আয়োজনে দেশপ্রেম, ঐক্য এবং সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি নতুন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়।