তিন অভিনেত্রী ও নায়কের ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা

তানজিন তিশা-শরিফুল রাজ-সুনেরাহ বিনতে কামাল-নাজিফা তুষি
তানজিন তিশা-শরিফুল রাজ-সুনেরাহ বিনতে কামাল-নাজিফা তুষি  © সংগৃহীত

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শরিফুল রাজ ফের আলোচনা-সমালোচনায় জায়গা করে নিলেন। এ তারকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা, চিত্রনায়িকা নাজিফা তুষি এবং সুনেরাহ বিনতে কামাল। মধ্যরাতে শরিফুল রাজ নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন নায়িকাদের কিছু অশ্লীল ছবি ও ভিডিও। যা এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ২টার দিকে এ অভিনেতার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেল অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থার ছবি ও ভিডিও ক্লিপ। নায়কের প্রথম পোস্টে ১২টি ছবি ও ভিডিও। এর মধ্যে কয়েকটি ছবি রাজ ও সুনেরাহর ভিডিও কলে কথা বলার।

ছবিগুলোর কোনোটায় দেখা গেছে রাজ সুনেরাহর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছেন। একটি ছবিতে রাজ বসে সুনেরাহকে জড়িয়ে ধরে হাসছেন। ভিডিওতে (রাজ সামনে আসেননি) রাজ জিজ্ঞেস করেন, কী করলা? নারী কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, তোমাকে চুমু খেয়েছিসহ অশ্লীল বাক্যালাপ।

বাকি ভিডিওগুলোতেও রাজের সঙ্গে তার অশ্লীল কথোপকথন শোনা যায়। এসময় মদ্যপান নিয়েও কথা বলেন তার। সম্ভবত মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এ যুগল। ক্যাপশনে ভুল বানানে লেখা হয়েছে। অন্যদিকে, তুষিকে নিয়ে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, রাজ ও তুষি মুখোমুখি বসে আছেন। রাজের হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। ক্যাপশনে লেখা, আমার তুষু।

এ ছাড়া তানজিন তিশার দুটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে একই পোস্টে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ঢুলু ঢুলু চোখে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় তিশা লিফটে নাচছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি মদ্যপ ছিলেন। এ ঘটনায় এখনো অভিনেতা রাজ ও তিশা কিছু না বললেও কথা বলেছেন অভিনেত্রী সুনেরাহ। 

তাদের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে চিত্রনায়িকা পরীমণির হাত রয়েছে বলে আকার-ইঙ্গিতে দাবি করেছেন সুনেরাহ। তবে ঘণ্টাখানেক পর রাজের প্রোফাইল থেকে সেসব ছবি ও ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু মূহর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়া।

আরও পড়ুন: পৃথিবীর আলো দেখার আগেই শেষ সাজ্জাদের দুই সন্তানের প্রাণ, দাফন চেন্নাইয়ে

এদিকে এ ঘটনায় সোমবার (২৯ মে) রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুনেরাহ। রাত সোয়া ৩টার দিকে ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে সুনেরাহ লিখেছেন, ‘আমি রাজকে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। সে আমার অনেক ভালো বন্ধু ছিল। তবে তার বিয়ের পর থে‌কে আমাদের প্রায় যোগাযোগই ছিল না। সেদিন একটা ডাবিং স্টুডিওতে আমা‌দের দেখা হলো। 

আমরা একস‌ঙ্গে ছ‌বি তুললাম। আমি জানি না, পুরোনো বন্ধুর সাথে একটা ছবি তোলা কী এমন অপরাধের বিষয়! তার স্ত্রী (পরীমণি) কোনো কারণ ছাড়াই এটা নিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে গেল। যে ভিডিওগুলো আপনারা দেখেছেন, (শরিফুল রাজের অ্যাকাউন্টে) সেগুলো পাঁচ বছর আগের। ‘ন ডরাই’ সিনেমার সময়ের।

তিনি আরও লেখেন, ‘তখন এভাবেই আমরা মজা করতাম, আর প্রতিদিন এভাবে কথা বলার প্র্যাকটিস করতাম। কারণ আমাদেরকে (বিশেষ করে আমাকে) সিনেমার প্রয়োজনে এভাবে গালি দিতে হয়েছে। তাকে (রাজকে) একটি ছবি আমি তখন পাঠিয়েছিলাম, তাকে এটা জানানোর জন্য যে আমি শুটিংয়ে মার খেয়েছি (যেখানে লিয়াকত আমাকে মারে, ন ডরাই সিনেমাটা যাঁরা দেখেছেন, তারা জানবেন), মার খেয়ে কালশিটে পড়ে গিয়েছিল, উঠে দাঁড়াতেও পারছিলাম না।

শুটিংয়ে যেতে পারব না এটা জানানোর জন্য ছবিটা পাঠিয়েছিলাম। তবে শুধু তাকে না, পরিচালককেও পাঠিয়েছিলাম।’

এ ছাড়া সুনেরাহ বলেন, ‘দয়া করে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। কারণ আমি নিশ্চিত, ওর (রা‌জের) আইডি হ্যাকড হয়েছে। আর কে হ্যাক করেছে, সেটা আমরা সবাই জানি, প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না (সে-ই করেছে)। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’


সর্বশেষ সংবাদ