মাভাবিপ্রবিতে ১২ ধাপে ভর্তি নিয়েও ১৭৮ আসন খালি

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফটক
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফটক   © টিডিসি ফটো

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) সর্বশেষ ১২তম মেধা তালিকায় ভর্তি শেষে মোট ভর্তির সংখ্যা ৬৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি বিভাগের ৮১০ আসনের মধ্যে ১৭৮টি আসন খালি রয়েছে।

আসন খালি থাকা বিভাগগুলো হল- টিই বিভাগ, সিপিএস বিভাগ, ইএসআরএম বিভাগ, এফটিএনএস বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগ, গণিত বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ, ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

এ সকল বিভাগে শুধুমাত্র বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য আসন ফাঁকা রয়েছে। এতো গুলো আসন খালি থাকায় নবীনদের ক্লাস শুরুর ব্যাপারে এখনও তারিখ নির্ধারণ করেতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তবে এ সকল খালি আসন পূরণের জন্য বিজ্ঞান ইউনিটের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে গণ আবেদনের নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মাভাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে শূন্য আসন পূরণের জন্য সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ২২৩৯ থেকে ৪৫৫৬ মেধাক্রমে থাকা শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে ভর্তির নির্দেশনা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : কম্পিউটার কিনলে সয়াবিন তেল ফ্রি

একইভাবে লাইফ সায়েন্স অনুষদে ৩৪৫০ থেকে ৮০০০, সায়েন্স অনুষদে ৪৫৫৭ থেকে ৮০০০, সোশ্যাল সায়েন্স অনুষদে ৪১১৭ থেকে ৮০০০, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে ৪১১০ থেকে ৮০০০ মেধাক্রমে থাকা শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদনের প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত ভর্তির নির্দেশনা দেয়া হবে। অনলাইনে এই আবেদন ১২ মার্চ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চলবে।

তবে মূল সার্টিফিকেট সশরীরে জমা না নিয়ে শুধুমাত্র অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে আসন পূরণ করলেও ক্লাস শুরুর সময় মাভাবিপ্রবিতে অনলাইনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী আসবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ ক্ষেত্রে ক্লাস শুরুর পরেও বড় সংখ্যক আসন খালি থাকার শঙ্কা রয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আবারও গণ আবেদনের নির্দেশনা দিয়ে আসন পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ভর্তি কমিটির প্রধান ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুল হক জানান, সামনে সপ্তাহে আসন পূরণ হলে ২০ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে নবীনদের ক্লাস শুরু হবে এবং গণ আবেদনের ভর্তি শেষে কোটা থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়া হবে।