হাবিপ্রবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধের নোটিশ: সুযোগমতো প্রয়োগে বিতর্কে প্রশাসন
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৩১ PM

দেশজুড়ে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে হাবিপ্রবি-তেও রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তোলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট থেকে হাবিপ্রবির সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য যেকোনো ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয়, এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতারা অভিযোগ করছেন, প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞার নোটিশটি নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী প্রয়োগ করছে। কখনো তা কার্যকর দেখিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম দমন করছে, আবার কখনো তা উপেক্ষা করে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে বা কার্যক্রম চালাতে দিচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিলেও নানা শর্ত আরোপ করে কার্যত রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, কিছু দল বা সংগঠন অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচি চালালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ছাত্রদলের আহ্বায়ক বার্নার্ড পলাশ বলেন, ‘আমরা এই ফ্যাসিস্ট নোটিশ মানি না। ছাত্ররাজনীতি আমাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রশাসন শুধু নিজেদের স্বার্থে এই নোটিশ ব্যবহার করছে।’
ছাত্রশিবিরের সভাপতি শেখ রিয়াদ বলেন, ‘প্রশাসন যদি রাজনীতি নিষিদ্ধ করে, তবে সেটা সবার জন্যই হওয়া উচিত। না হলে উন্মুক্তভাবে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হোক। দ্বৈত নীতির কারণে বিভ্রান্তি বাড়ছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ বলা হলেও শিক্ষক রাজনীতি চলে নিরবচ্ছিন্নভাবে। প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা বলেন, ‘রাজনীতি নিষিদ্ধের নোটিশ এখনো বহাল আছে। তবে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কিছু মানবিক কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, শর্তসাপেক্ষে। স্লোগান, মিছিল নিষিদ্ধ থাকবে।’