কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন জারি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৮ AM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৫৯ PM

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলন এবং আমরণ অনশনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল শাখা থেকে দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে উভয় কর্মকর্তাকে তাঁদের নিজ নিজ বিভাগে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
প্রজ্ঞাপন জারির আগের দিন, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন এবং রাষ্ট্রপতি তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে উপ-উপাচার্য ড. শরীফুল আলম পরে দাবি করেন, তিনি পদত্যাগ করেননি বরং অব্যাহতি না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। যদিও শেষপর্যন্ত তিনি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেন।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে গত কয়েক মাস ধরে চলা অস্থিরতা। ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল-যুবদল ও শিক্ষার্থী-এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তবে শিক্ষার্থীরা ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এর প্রতিবাদে ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ জন শিক্ষার্থী এক দফা দাবিতে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন।
সরকারি পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে শিক্ষার্থীরা ২৪ এপ্রিল অনশন ভাঙেন এবং পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘বিজয়ের মিছিল’ করেন। অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপেই প্রশাসনের শীর্ষ দুই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়া হলো।