গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের নেতৃত্বে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে গোবিপ্রবি পরিবার
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের নেতৃত্বে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে গোবিপ্রবি পরিবার  © টিডিসি

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জ শহরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। পরে সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও উদযাপন কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, ‘স্বাধীনতা একটি বিমূর্ত ধারণা, যা অর্জন করা কেবল শিক্ষিত মানুষের পক্ষেই সম্ভব এবং স্বশিক্ষিত মানুষ যেখানে আছে, সেখানে স্বাধীনতা অর্জন করা অপেক্ষাকৃত সহজ। আর ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা, জনগণের মধ্যে বিভিন্ন বিভ্রান্তি, মানসিক জটিলতা এবং ২০০ বছরের পরাধীনতার ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো আমাদের এই দেশে স্বাধীনতার চিত্রটা ভিন্ন।’

আরও পড়ুন: দাখিল পরীক্ষার সংশোধিত সূচি প্রকাশ, দেখুন এখানে

তিনি আরও বলেন, ‘আশাব্যঞ্জক দিক হলো, এ দেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপচাপ থাকেনি; বিদ্রোহ করেছে, স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা অনেক কিছু নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারি। ‘২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আবারও সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আমরা যদি নিজেদের জায়গা থেকে উন্নতি করতে পারি, তবেই দেশটা এগিয়ে যাবে। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়াই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, ‘আমরা সব সময় একধরনের মনস্তাত্ত্বিক দাসত্বে বন্দি থাকি। যে কারণে ক্ষমতায় যারা গেছে, আমরা তাদের দাসত্ব করেছি। সব সময় শাসকের শৃঙ্খলকে অন্তরে গেঁথে নিয়েছি। যে কারণে বিগত রেজিমও আমাদের ব্যবহার করে তাদের স্বার্থোদ্ধার করে গেছে। এর দায় আমাদের সবার। যেকোনো রেনেসাঁর পর দেখা যায়, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশনের সাথে সাথে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটে। আমাদের দেশে কিছুটা অর্থনৈতিক অগ্রগতি হলেও শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে কোনো জাগরণ হয়নি। কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

আরও পড়ুন: মার্চের বেতন তুলছেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা, এখনও ফেব্রুয়ারির বেতন মেলেনি স্কুল-কলেজে

ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুকান্ত বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন মানবিকী অনুষদের ডিন মো. আব্দুর রহমান, প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব, ছাত্র পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক মো. বদরুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আবু সালেহ্ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান বিশ্বাস।

এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় প্রশাসনিক ভবনে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ