প্রতিষ্ঠার এক যুগেও সমাবর্তন হয়নি বশেমুরবিপ্রবিতে, গ্র্যাজুয়েটদের ক্ষোভ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

স্নাতক সম্পন্ন করার পর সমাবর্তনের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মূল সনদ। সমাবর্তনে কালো গাউন পরে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। এ কারণে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনে সমাবর্তন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তবে প্রতিষ্ঠার এক যুগের বেশি সময় পার হলেও সমাবর্তন পাননি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৮টি ব্যাচের স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীরা।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্র্যাজুয়েটরা। তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ উদ্যোগের অভাবে সমাবর্তন হচ্ছে না।

২০০১ সালের ৮ জুলাই মহান জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। অবশেষে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।

আরও পড়ুন: রাবিপ্রবিতে ভিসি নিয়োগে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

এরপর দীর্ঘ এক যুগ পেরোলেও কোনো সমাবর্তন পাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাস করা আট হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অপেক্ষায় আছেন সমাবর্তনের জন্য। এদিকে যতই দিন গড়াচ্ছে, ততই বেড়ে চলছে এই সংখ্যা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাইম হোসেন বলেন, ‘বশেমুরবিপ্রবির প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরেও সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়নি। এমতাবস্থায় একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিদ্রুত সমাবর্তনের নতুন ঘোষণাসহ প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর সমাবর্তন চাই।’

বিশ্ববিদ্যালায়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সুজন চৌধুরী বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে আচার্যের হাতে মূল সনদ নিয়ে বের হওয়া। কিন্তু বশেমুরবিপ্রবি  স্নাতক শেষ করা একজন শিক্ষার্থী তার প্রাপ্য এই স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা ও যথাযথ উদ্যোগের অভাবে সমাবর্তন হচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য যেমন কষ্টের, তেমনি লজ্জার। আমাদের একটাই আশা, একটাই চাওয়া আমাদের প্রাপ্য সম্মানের সঙ্গে উৎসবমুখর বিদায় চাই।’

আরও পড়ুন: বশেফমুবিপ্রবিতে বাসের দাবিতে ব্যাংকে তালা দিলো শিক্ষার্থীরা

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, ‘আমরা আপাতত সমাবর্তনের দিকে যাচ্ছি না। তবে জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে আমরা শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। এবারের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত সময়ের তুলনায় আরও জমকালোভাবে আয়োজনের প্রচেষ্টায় আছি। যেহেতু আমি নতুন এসেছি, তাই সমাবর্তনের মতো একটা বৃহৎ অনুষ্ঠান এ বছরই আয়োজন করা সম্ভব না। তবে পরবর্তী বছর থেকে আমরা সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টা করব।’


সর্বশেষ সংবাদ