হলে ঢুকে সিনিয়রকে মারধর, হাবিপ্রবিতে বহিষ্কার ২
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ PM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ PM
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে ঢুকে এক সিনিয়র শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ২ জুনিয়র শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও তারা সহ মোট ৯ জনকে আবাসিক হল থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়৷
জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর রাত ৭টায় সংঘটিত ঘটনা ও পরবর্তীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হল এর ১০৭ নং রুমে সংঘটিত ঘটনার জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক অপরাধের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে তাদের শাস্তি দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে।
যাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন:
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এমএস ২ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ আহমেদ ও পরিসংখ্যান বিভাগের লেভেল ৪ সেমিস্টার ২ এর শিক্ষার্থী সৌরভ কুমার কুন্ডু, দু'জনকে ১ সেমিস্টার ও হল থেকে ১ বছর বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও হল থেকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে: কৃষি অনুষদের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাকিবুর রহমান (সুইন), কৃষি অনুষদের ১৯ ব্যাচের সাদী মো. মোসাব্বাহ (সাদী চিশতি), ম্যানেজমেন্ট ২১ ব্যাচের মো. মাস-উদ আব্দুল্লাহ (রিদম), ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং ২৩ ব্যাচের মো. ফাহমিদ তানজিম ফাহিম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ২২ ব্যাচের আবু হামজা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং ২০ ব্যাচের নুহাস আলী অর্ণব এবং মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ এর শিক্ষার্থী মো. তামজিদ হক।
জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর রাতে ডিভিএম গেইটে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কথা-কাটাকাটি থেকে জিয়া হলের ১০৭ নম্বর রুমে ঢুকে ১৭ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। সেই ঘটনার পর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তার প্রায় দুই সপ্তাহ পর বিচারের দাবীতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর তদন্ত কমিটি গঠন ও রিপোর্ট এর ভিত্তিতে আজ তাদের বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। শিক্ষার্থীদের যেকোন অভিযোগ-অনুযোগ লিখিতভাবে আমাদের দিলে বা জানালে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবো। মারামারি কিংবা বিশৃঙ্খলা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে আমরা সবাইকে আহবান জানাই।