‘বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করা শিক্ষার্থীরা ব্যাচমেটদের সঙ্গে পাশ করে বের হতে পারতেন না’

শাকুর মজিদ
শাকুর মজিদ  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ফের ছাত্ররাজনীতি চালুর পক্ষ-বিপক্ষে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। মূলত সেখানকার সাধারণ শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতি না রাখার পক্ষেই। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ সেখানে ছাত্ররাজনীতি ফেরাতে মরিয়া। শুধু বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীরা নন, বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীরাও সেখানে ছাত্ররাজনীতি না রাখার পক্ষে। এ লক্ষ্যে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে NO_STUDENT_POLITICS_IN_BUET হ্যাশট্যাগে নিজেদের মতামত তুলে ধরছেন।

এই মতামতে যুক্ত হয়েছেন স্থপতি, নাট্যকার, তথ্যচিত্র নির্মাতা ও চিত্রগ্রাহক শাকুর মজিদ। বুয়েটের সাবেক এই শিক্ষার্থী ‘নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি করতেন তাদের কেউই ব্যাচমেটদের সাথে পাশ করে বের হতে পারেন নি। কয়েকবার ফেল করে যারা বের হয়েছিলেন কারোই রেজাল্ট তেমন ভালো ছিল না। এরা বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষায় যেতে পারতেন না।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এক পোস্টে তিনি আরও লিখেন, দেশে ঠিকাদারি পেশা তাদের বেছে নিতে হতো। আর ভাগ্যক্রমে যাদের দল ক্ষমতায় থাকতো তাদের সাহায্য নিয়ে ...............কাজে ব্রত হতেন। যাদের দল ক্ষমতায় নাই, তারা তাদের চেয়ে গোড়ালীর যোগ্যতাসম্পন্ন মালিকের অধীনে চাকরি করা, নিজের দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা আর হা-পিত্যেশে দিন কাটান। প্রিয় বুয়েটিয়ান, ইট ইজ ইয়োর চয়েজ নাও।

আরেক পোস্টে তিনি লিখেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি কেন? ছাত্ররা রাজনীতি করবে কেন? তারা করবে এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটির ক্লাব। ক্লাস রিপ্রেসেন্টেটিভ হবে চক্রাকারে সবাই। একটা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা বড় দলের ছাত্র সংগঠনের যে পদ পদবি থাকে (১১-২১টা বা তার চেয়েও বেশি), আল্লাহর কসম, এই পদগুলোর কোন কাজ নাই। শুধু নাম। লেখাপড়া করতে আসা ছাত্ররা মূর্খের মত এই পদগুলো গ্রহণ করার জন্য মরিয়া হয়, অন্তঃকলহে জড়ায়। কাজ কিন্তু কিছু নাই। কাজ সবার সমান। বড় ভাইর আদেশে লাঠি হাতে রেডি থাকা। এই বড় ভাই পাড়ার নেতার আদেশের অপেক্ষায় থাকেন। পাড়ার নেতা.......।

“তারা যা করান তার নাম আর যাই হোক, এটা রাজনীতি না। রাজার নীতি বা রাজ্যের নীতি অন্য জিনিস। সেটা করার যোগ্য লোক নাই বলে পাড়ার মাস্তানীর নামও হয়ে গেছে রাজনীতি। রাজনীতি ওতো সস্তা জিনিস নয়, যত সস্তা একে বানানো হয়েছে।”

ভ্রমণকাহিনী ও জীবনী সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন শাকুর মজিদ। ১৯৯৩ সালে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ