নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে ডুয়েট উপাচার্যের অভিনন্দন

অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান
অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান  © ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। আজ সোমবার এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, এই বিজয়ের মাধ্যমে এদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও দূরদর্শী নেতৃত্ব, অকৃত্রিম দেশপ্রেম এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতায় মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ধারা অব্যাহত রাখতে এবং একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশ হিসেবে পড়ে ভুলতে ইতিহাসে এক মাইলফলক ও অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছে। তিনি সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উপাচার্যবলেন, তৎকালীন সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে অন্ধকার থেকে আলোর পথে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। দেশে ফিরেই তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একাগ্রচিত্তে ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ শুরু করেন। তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এরপর দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। 

এখন পর্যন্ত চার বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়ে এখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম সারা বিশ্বে আজ প্রশংসা অর্জন করেছে। সম্প্রতি তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি টানেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অসংখ্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে। তিনি দেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে রূপকল্প-২০২১ এর সফল বাস্তবায়নের পথ ধরে রূপকল্প ২০৪১ ও ডেন্টা প্ল্যান-২১০০ এর মতো দূরদর্শী কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। 

“তাঁর বিচক্ষণতা, অকৃত্রিম দেশপ্রেম, সাধারণ মানুষের প্রতি ভালবাসা ও মমত্ববোধ এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজ কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক সকল খাতে বাংলাদেশ অর্জন করেছে বিস্ময়কর অগ্রগতি। আর্থ-সামাজিক ও উন্নয়ন-অগ্রগতির সকল সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের 'বিস্ময়' এবং 'রোল মডেল' হিসেবে আখ্যায়িত। বাঙালির নব দিগন্তের কান্ডারি, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ঐক্যের প্রতীক ও ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল।”


সর্বশেষ সংবাদ