বছরে ৬ মাসই পানির নিচে পবিপ্রবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ

লম্বা ঘাস এবং সারি সারি কচু গাছ রয়েছে মাঠে
লম্বা ঘাস এবং সারি সারি কচু গাছ রয়েছে মাঠে  © টিডিসি ফটো

দীর্ঘদিন ধরে সংষ্কার না করায় ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। অল্প বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যাওয়া ছাড়াও লম্বা ঘাস এবং সারি সারি কচু গাছ রয়েছে মাঠে। কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি না থাকায় মাসের পর মাস ব্যবহার অনুপোযোগী থাকে এই মাঠ। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের এ অব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ। মাঠ তদারকীর দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।  

শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলাকে ইতিবাচক প্রভাবক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। অথচ মাসের পর মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠের দুর্দশা শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চা অনেকাংশেই বিঘ্নিত হচ্ছে। ঘাস কাটা, রোলিং করা কিংবা জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ প্রায়শই উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া এভাবে দিনের পর দিন অব্যবস্থাপনায় ফেলে রাখায় খেলাধুলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে এ মাঠটি। ইতোমধ্যে খেলতে যেয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।  এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে একটি আবেদন জমা দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবুও কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। 

তাছাড়া এ বছর জুন মাসের পর গত ৫ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরণের খেলাধুলা আয়োজিত হয়নি। যা নিয়েও শিক্ষার্থীদের মাঝে রয়েছে ক্ষোভ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক খেলাধুলা এবং শরীরচর্চার পরিবেশ ফেরাতে বর্তমানে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটিকে যথাযথ সংস্কার ও পরিচর্যার দাবি শিক্ষার্থীদের। একই সাথে হ্যান্ডবল ও ভলিবলসহ অন্যান্য খেলার জন্য বিকল্প মাঠের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান তারা। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী প্রান্ত প্রতিম পাল বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাসীনতা ও অবহেলায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটি বছরের ৬ মাসই পানির নিচে ডোবা হয়ে থাকে। পরে ৩ মাসে সকল খেলাধুলা তড়িঘড়ি করে আয়োজন করা হয়, যা সকল শিক্ষার্থীর জন্য অংশগ্রহণমূলক হয় না। অবিলম্বে এসব সমস্যার সমাধান দরকার।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান লাজুক বলেন, "অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করলেই বোঝা যাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শারিরীক শিক্ষা বিভাগের কি অবস্থা! কেবলমাত্র দায়সারা কয়েকটি টুর্ণামেন্টই কি শারিরীক শিক্ষা বিভাগের কাজ? এ ছাড়া আর কোন কাজ নাই?"

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারিরীক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আবু হানিফের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের শারিরীক শিক্ষা বিভাগে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার কারনে সব কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত মাঠের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।" 

এ সময় খেলাধুলার আয়োজন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনডোরের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় এ মুহুর্তে কোন ধরণের ইনডোর প্রতিযোগীতা সম্ভব নয়, তবে এ বছর নভেম্বরের ভেতর ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।"


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence