কেনো পড়বেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এক অপূর্ব মনোরম পরিবেশে অবস্থিত রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা, সম্প্রীতি, প্রগতির স্বপ্নকে লালন করে উঁচুনিচু পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আকাশ থেকে দেখলে মনে হবে এটি দেশের বাহিরের কোন নান্দনিক বিশ্ববিদ্যালয়। তিন পার্বত্য জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ও ব্যতিক্রম ধর্মী এক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির লক্ষ্যে ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করে। পরবর্তীতে  ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম চালু হয়।

রাবিপ্রবির সৌন্দর্য: প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ ও সৌন্দর্যের দিক থেকে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে রাবিপ্রবি। নেপাল ও ভুটানের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত স্থাপনার আদলে গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নয়ন শেষ হলে এটিই হবে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক ও নান্দনিক বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষাব্যবস্থা: বিজ্ঞান ও বাণিজ্যিক বিষয়গুলো রাবিপ্রবিতে গুরুত্ব পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তিনটি অনুষদের অধীনে মোট পাঁচটি বিভাগ রয়েছে। এদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদরে অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের অধীনে ফরেস্ট্রি এন্ড এনভারমেনটাল সায়েন্স ও ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্সেস টেকনোলজি বিভাগ এবং বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের অধীনে ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ রয়েছে।

সুযোগ-সুবিধা: রাবিপ্রবিতে বর্তমানে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩০ জন শিক্ষক রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় প্রতিটি বিভাগে পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া নির্মাণকাজ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে।

সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতা: বাংলাদেশে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতায় এগিয়ে রয়েছে রাবিপ্রবি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাতৃভাষা বাংলা ও ইংরেজি ভাষা বহুল প্রচলিত হলেও রাবিপ্রবিতে তা ব্যতিক্রমী। বাংলা, ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি এখানে ব্যাপক ভাবে প্রচলিত পাহাড়ি ভাষা। এছাড়া, পহেলা বৈশাখে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র এক দিনের ছুটি দেয়া হলেও রাবিপ্রবিতে প্রায় ৭ দিনে ছুটি দেয়া হয়, এর মূল কারণ বৈসাবী। নানা বর্ণ, ধর্ম, জাতিগত পার্থক্য ও খাবারের বৈচিত্র এখানে পরিলক্ষিত হয়। যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আলাদা। 

পর্যটন কেন্দ্র: প্রতিবছর হাজার- হাজার মানুষ রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো ভ্রমণ করেন। কাপ্তাই-লেক,ঝুলন্ত-ব্রিজ সহ রাঙ্গামাটির গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ভ্রমণের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষের ছুটে আসে এই শহরে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় রাবিপ্রবিয়ানরা এসব জায়গায় ঘুরতে পারেন অনায়াসেই। রাবিপ্রবিয়ানরা সেদিক থেকে সৌভাগ্যবান। রাঙ্গামাটি থেকে বান্দরবন, খাগড়াছড়ি কিংবা চট্টগ্রাম যেদিকেই যান গাড়িভাড়া ২০০ টাকার মধ্যে। তাই একা কিংবা দলগত চাইলেই ঘুরে আসা যায় সেসব দর্শনীয় স্থান থেকে।


সর্বশেষ সংবাদ