এবার আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ‘আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’!

বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামে এক সংঠন ফেসবুক প্রচারণা চালাচ্ছে
বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামে এক সংঠন ফেসবুক প্রচারণা চালাচ্ছে  © ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

দিনদিন বেড়েই চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে নাম সর্বস্ব সংগঠন। এসব নাম সর্বস্ব সংগঠনের পেছনে ‘লীগ’ শব্দ ব্যবহার ছাড়াও বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের নামও ব্যবহার করছেন উদ্যোক্তারা।  এবার ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে এক সংঠনের পোস্টারে ছেয়ে গেছে ফেসবুক।

পোস্টারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেয়া হবে বলে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। সংগঠনটির দাবি, গত দু-তিন বছর ধরেই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অনুমোদনের চেষ্টা করছে তারা। তবে এ ধরনের নামসর্বস্ব সংগঠনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

জানা গেছে, নামসর্বস্ব এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনির। পোস্টারে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে সাইফুল ইসলাম ইমনের ফোন নম্বর দিয়ে তাতে পদ প্রত্যাশীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ইমন পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, পাশাপাশি একটি মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

ফেসবুকের নিজের ফেরিফায়েড আইডিতে হেলেনা জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় আর সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার প্রত্যাশায় বাংলাদেশের আওয়ামী চাকুরীজীবী লীগ নামটি অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও এটি বেশ অনেকদিন ধরে কাজ করা একটি সংগঠন। এটির বয়স প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর। অনেক দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৩২টি জেলায় অফিসসহ কমিটি দেওয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে এই সংগঠনটির সদস্য লক্ষ লক্ষ।

“অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ব্যাংকার, বেসরকারি অনেক চাকরিজীবীরা এখানে আছেন। প্রচার প্রচারণা নেই হয়তো এই জন্য অনেকের অজানা। কিছুদিনের মধ্যেই সবাই জেনে যাবেন। কারণ প্রতিদিন জুম মিটিং এর মাধ্যমে আগামীর কার্যক্রম আলোচনা চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিত সহায়তাকারী সংগঠন হিসেবে কাজ করবে।”

প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ইমন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ এখনও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অনুমোদন পায়নি। এটা দু থেকে তিন বছর ধরে আমাদের ফেসবুকে প্রচার-প্রচারণা চলছে। আওয়ামী লীগের অন্য সহযোগী সংগঠনগুলোর মতো করে তারা কাজ করতে চান।

তবে এ ধরনের নামসর্বস্ব সংগঠনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নামের সঙ্গে আওয়ামী লীগ যোগ করলেই তা আওয়ামী লীগ হয়ে যায় না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক নেই।


সর্বশেষ সংবাদ