বাণিজ্যমেলায় যাবেন যেভাবে

২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২২ বসেছে পূর্বাচলে
২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২২ বসেছে পূর্বাচলে  © সংগৃহীত

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত না হলেও এবার বসেছে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২২। তবে, এবারের ভেন্যু পূর্বাচল। এতে প্রথমবারের মতো মেলাটি ঢাকার আগারগাঁওয়ের বদলে বসলো অন্যত্র। এবারের মেলায় প্রবেশ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। কিন্তু ছুটির দিনে মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলা শুরু, টিকেটমূল্য ৪০ টাকা

সম্প্রতি, গনচীন ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে পূর্বাচল উপশহরের ৪ নম্বর সেক্টরে ৩২ একর জায়গার উপর একটি এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ করা হয়। যা বর্তমানে বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টার নামে পরিচিত। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট ৭৭৩ কোটি টাকা। প্রায় ৩৩ হাজার বর্গমিটারের প্রদর্শনী স্পেসের এক্সিবিশন হলে মোট ৮০০টি বুথ আছে; যার প্রতিটির আয়তন ৮.৬৭ বর্গমিটার। এ ছাড়াও বাইরে অস্থায়ী ব্যবস্থার জন্য রয়েছে ৬ একর খোলা জায়গা। আরও রয়েছে ৪৭৩ আসনবিশিষ্ট একটি মাল্টি-ফাংশনাল হল, ৫০ আসনবিশিষ্ট ১টি কনফারেন্স রুম, ৬টি সভাকক্ষ, ৫০০ আসনের ক্যাফেটেরিয়া, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজের স্থান, ১৩৯টি টয়লেট, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম ইত্যাদির সুবিধা। 

আরও পড়ুন: কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

যেভাবে যাবেন এবারের বাণিজ্যমেলায়, চলুন জেনে নেই-

কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড থেকে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। রাস্তা ফাঁকা থাকলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলায় পৌঁছতে সময় লাগতে পারে ৫০ মিনিট। উপরন্তু যানজট থাকলে বাণিজ্য মেলায় যেতে ২ ঘণ্টাও লাগতে পারে। তাই পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বের হতে হবে।

আরও পড়ুন: স্মৃতি থেকে আঁকা ম্যাপে ৩৩ বছর পর মা-ছেলের পুনর্মিলন

প্রসঙ্গত, মেলায় পার্কিংয়ের জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে তাই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গেলে পার্কিংয়ের কোন ঝামেলা নেই। মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে প্রতিদিন ৩০টি বিআরটিসি বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। নামতে হবে কাঞ্চন ব্রিজে। সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে যেতে হবে।

উল্লেখ্য, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়। বাণিজ্যমেলা সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে ক্লিক করুন এখানে


সর্বশেষ সংবাদ