ফুডপ্যান্ডায় বাতিল অর্ডারের খাবার সুবিধাবঞ্চিতদের পৌছে দেবে বিদ্যানন্দ

ফুডপ্যান্ডা ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের লোগো
ফুডপ্যান্ডা ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের লোগো  © সংগৃহীত

ফুডপ্যান্ডায় বাতিল হওয়া অর্ডারের খাবার সংগ্রহ করে তা সুবিধাবঞ্চিতদের হাতে পৌছে দেবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। খাবারের অপচয় কমাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি। ফুডপ্যান্ডার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

ফুডপান্ডা জানায়, যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা ফুডপ্যান্ডা প্ল্যাটফর্মে বাতিল হওয়া অর্ডারের খাবার সংগ্রহ করছেন। এসব খাবার নির্দিষ্ট রাইডার হাব থেকে সংগ্রহ করে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। যার ফলে, বাতিল হওয়া অর্ডারের খাবারের আর অপচয় হবে না। খাদ্য নিরাপত্তা প্রচার ও খাদ্য অপচয় হ্রাস ছাড়াও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এবং ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ উভয় প্রতিষ্ঠানই সংগৃহীত সকল খাবার, সুরক্ষা মান এবং সঠিক প্যাকেজিংয়ের কথা বিবেচনা করে পুনরায় বিতরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। 

এছাড়াও, সারাদিন রাইডারদের দ্বারা নির্দিষ্ট হাবে ফিরিয়ে আনা খাবারগুলো যাতে খাওয়ার জন্য নিরাপদ থাকে এটাও নিশ্চিত করে ফুডপ্যান্ডা। অন্যদিকে, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা নিশ্চিত করেন, যেনো খাবারগুলো সময়মত তুলে নেয়া হয় এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবছর বিশ্বে উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় ১.৩ বিলিয়ন টন অপচয় ঘটে। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই, কঠিন বর্জ্যের একটা বড় অংশ অপচয় হওয়া খাদ্য বর্জ্য। খাবারের অপচয় সমাজের সব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। বিশ্বজুড়ে সবার খাদ্য নিরাপত্তার ওপর এর স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে- যা অর্থনৈতিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে এবং বিদ্যমান জলবায়ু সঙ্কটকে তীব্র করে তোলে। 

এ বিষয়ে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা আম্বারিন রেজা বলেন, ‘খাবারের অপচয় রোধে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন আমাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে বলে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা শুধু খাবারের অপচয় কমাতেই সক্ষম হবো না, পাশাপাশি সময়ের সাথে আমরা দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের খাবার দিয়ে সহায়তা করতে পারবো এবং টেকসই ভবিষ্যত অর্জনে সক্ষম হবো। আমাদের প্রত্যাশা, এই উদ্যোগটি আমাদের কমিউনিটিতে এবং সর্বোপরি দেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস বলেন, ‘এক টাকায় আহার কর্মসূচির মাধ্যমে কয়েক লাখ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়ার পরেও খাবার অপচয়ের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে না পেরে আমরা খাদ্য বিতরণ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম না। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে খাবার সংগ্রহ করে সেগুলো ভাসমান মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়া নিয়ে গত তিন বছরের আমাদের লালিত স্বপ্ন ফুডপ্যান্ডার সাথে বড় আকারে এখন যাত্রা শুরু করেছে। এই যাত্রায় বিদ্যানন্দের সাথে যোগ দেয়ার জন্য ফুডপ্যান্ডাকে ধন্যবাদ।’

এই উদ্যোগটি বর্তমানে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে কার্যকর থাকলেও খাবার অপচয় রোধে শীঘ্রই অন্য বড় শহরগুলোতে এর কার্যক্রম শুরু হবে।


সর্বশেষ সংবাদ