মাধ্যমিকে দিনে ক্লাস বাড়ছে একটি, কমবে সময়

মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিদিন একটি করে ক্লাস বাড়ছে
মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিদিন একটি করে ক্লাস বাড়ছে  © ফাইল ছবি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি দু'দিন হওয়ায় প্রতিদিন একটি করে বাড়তি ক্লাস করতে হবে শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া প্রথম পিরিয়ড বাদে বাকিগুলোয় সময় কমবে। এভাবে নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সময়সূচি চূড়ান্ত করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কয়েকদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে হবে।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে নতুন সময়সূচির রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। রোববার প্রস্তাব আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এটি দেওয়া হবে। এতে নির্দিষ্ট সময়ে সিলেবাস শেষ করতে মাধ্যমিক স্তরে একটি ক্লাস বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। বর্তমানে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোতে দিনে ছয়টি ক্লাস হয়। এখন প্রতিদিন একটি করে ক্লাস বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন করায় শনিবারের ক্লাস কীভাবে মেকাপ দেওয়া যায় সেটি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি দূর করতে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের দিনে যে ক’টি ক্লাস করতে হয়, ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হলে তখন দিনে একটি বাড়বে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সাথে সভা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, মাউশি সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে বসে রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞরাও এতে ছিলেন। মন্ত্রণালয়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। শনিবারের বাদ যাওয়া ক্লাসগুলো বাকি পাঁচ দিনে নিতে প্রতিদিন একটি ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, রাজধানীর ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন দিনে সাতটি করে ক্লাস নেওয়া হয়। বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকে। এখন সরকারি স্কুল-কলেজগুলোও যুক্ত হবে।

আরো পড়ুন: দৈনিক মজুরিতে কাজ-পড়াশোনা, গুচ্ছে সেরাদের তালিকায় দিলওয়ার

নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, নবম ও দশম শ্রেণিতে প্রতিদিন একটি করে বাড়িয়ে পাঁচ দিনে সাতটি করে ৩৫টি ক্লাস নিতে হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একটি করে ক্লাস বাড়িয়ে ৩৫টি করা হলেও বৃহস্পতিবার দুই ক্লাস আগে ছুটি দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য এই তিনটি শ্রেণির সপ্তাহে ৩৩টি ক্লাস করতে হবে।

অধ্যাপক মশিউজ্জামান জানান, নতুন ক্লাস যুক্ত হওয়ায় প্রতিটির সময়ের ব্যাপ্তি কমবে। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণিতে প্রথম পিরিয়ডের সময়সীমা ১ ঘণ্টা থেকে ১০ মিনিট কমিয়ে ৫০ মিনিটে আনতে প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রথম পিরিয়ডে রোল কল করতে হওয়ায় অন্য ক্লাসের চেয়ে ১০ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হয়। অন্য পিরিয়ডের সময়ও ৫ মিনিট কমিয়ে ৪৫ মিনিট করতে বলা হয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, এক শিফটের স্কুলে প্রতিদিন ২০ মিনিটের বিরতিসহ ছয় ঘণ্টা ১০ মিনিট পাঠদান করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক রেখে এক শিফটের স্কুলগুলো শুরু ও শেষের রুটিন নিজেরা তৈরি করে নিতে পারবে। ডাবল শিফটের স্কুলগুলোয় স্কুলিং টাইম হবে পাঁচ ঘণ্টা। প্রভাতী শাখা সকাল ৭টায় শুরু করে দুপুর ১২টায় শেষ করতে হবে। দিবা ১২টা ১৫ মিনিটে শুরু করে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে শেষ করবে।


সর্বশেষ সংবাদ