বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-বোনাস নিয়ে সবশেষ যা জানালেন মাউশি ডিজি

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান  © ফাইল ছবি

‘স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ উৎসব ভাতা এবং বেতনের সব কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি কাজ ব্যাংকের। ব্যাংকের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। আশা করছি বৃহস্পতিবারের  মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতার অর্থ তুলতে পারবেন।’

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।

মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা ঈদের আগে মার্চের বেতন পাচ্ছেন, অথচ স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো ফেব্রুয়ারির বেতন পাননি। বেতন নিয়ে বিড়ম্বনা কবে কমবে—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন অনলাইনে দেওয়া খুব সহজ বিষয় না। অনেকের তথ্যগত ভুল রয়েছে। তবুও মানবিক বিবেচনায় তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। নতুন একটি বিষয় বাস্তবায়ন করতে নানা সমস্যা হয়। সব সমস্যা সমাধান করে বেতন দেওয়ার কাজ চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদনও দিয়েছে। বাকি কাজ অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ব্যাংকের। তাদের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বক্তব্য দিতে পারি না। কবে ব্যাংকে টাকা পাঠানো হবে সেটি চিফ অ্যাকাউন্টস অফিস ভালো বলতে পারবে।’

জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।

ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জোটে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা জানুয়ারি মাসের বেতনও পেয়েছেন। তবে তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এখনও হয়নি। চলতি সপ্তাহে তারা বেতন-ভাতা পেতে পারেন।

অন্যদিকে ৫ম ধাপে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পান নি। চলতি সপ্তাহে তারা তিন মাসের বেতন একসঙ্গে পেতে যাচ্ছেন। তবে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ঈদের আগে বেতন-ভাতা পাবেন না বলে জানিয়েছে ইএমআইএস সেল।


সর্বশেষ সংবাদ