জালিয়াতদের বিরুদ্ধে অপরাজেয় বাংলায় জড়ো হচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১১:১৯ AM , আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০৭ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সে অনুযায়ী আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধনে মিলিত হচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যে সেখানে জড়ো হতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে আজ এই মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) এজিএস এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
গত কয়েক বছরে অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছেন বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনার অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। বর্তমানে এ মামলার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। শিগগিরই আদালতে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।
এদিকে সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায় সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে ‘ভর্তি জালিয়াতবিরোধী’ সভায় অংশ নিয়েছেন একদল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতি এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানায় এবং ভর্তি জালিয়াতিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করেন তারা। এসবের মধ্যে রয়েছে-জালিয়াতদের বহিস্কারের জন্য প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করা; প্রতিটি অনুষদ এর ডিন এবং কয়েকটি ডিপার্টমেন্টের (যাদের জালিয়াত সংখ্যা তুলনামূলক বেশি) চেয়ারপার্সন বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে; ডাকসু নেতৃবৃন্দকেও এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা; এসব লিগ্যাল একশনগুলো নেয়ার পর ক্যাম্পাসে জালিয়াতদের ছবিসহ ব্যানার, লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনমত গড়ে তুলা এবং তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট এর আহ্বান জানানো।
এসবের পরও যদি প্রশাসন কোন সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে সবাইকে নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেবে বলে ওই সভায় সিদ্ধান্ত আসে।