আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ফাঁস হয় নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন

গত ৬ নভেম্বর বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন পাঁচটি ব্যাংকের ১ হাজার ৫১১টি ‘অফিসার ক্যাশ’ শুন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়
গত ৬ নভেম্বর বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন পাঁচটি ব্যাংকের ১ হাজার ৫১১টি ‘অফিসার ক্যাশ’ শুন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়  © সংগৃহীত

রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হাফিজ আক্তার জানান, কয়েকটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের কাছে ৫-১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। চক্রটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁসের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে ৬০ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, প্রশ্ন নিতে যারা টাকা দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়, তাদের ‘গোপন বুথে’ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করানো হয়। এভাবে ৬০-৭০ ভাগ এমসিকিউ এর সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্যাংকারসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

পড়ুন: বাতিল হতে পারে ৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা

গ্রেপ্তার পাঁচ জনের মধ্যে চার জন ব্যাংকার ও একজন আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েল (২৬), যাকে প্রশ্ন ও উত্তরফাঁসের মূল হোতা বলে বলছেন গোয়েন্দারা। গত ৬ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

টাকা নিয়ে প্রশ্নপত্র পেয়েছেন এমন দুই শতাধিক পরীক্ষার্থীর তালিকা পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। হাফিজ আক্তার জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানা গেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। জড়িত সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের পরিকল্পনায় প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহসানউল্লাহ ইউনির্ভাসিটির আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।

এর আগে, গত ৬ নভেম্বর বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন পাঁচটি ব্যাংকের ১ হাজার ৫১১টি ‘অফিসার ক্যাশ’ শুন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে ১৮৩টি, জনতা ব্যাংকে ৫১৬টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৫০০টি, রূপালী ব্যাংকে ৫টি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ৭টি পদ রয়েছে। বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

সরকারি ব্যাংকে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি কেন কালো তালিকাভুক্ত করা হবে না, তা জানতে আজ বিকেলে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে থাকা ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence