খুলনায় আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, শেষ ৩ মাসে ৮ খুন
- খুলনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:১২ PM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৪ PM
গত তিন মাসে খুলনা জেলা ও নগরীতে আটটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মোটরসাইকেলে সন্ত্রাসীদের মহড়ার ঘটনা ঘটেছে ১০-১১টি। নগরবাসীর অভিযোগ, নগরীতে আগের মতো পুলিশের টহল ও অভিযান দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া কারাগারে থাকা বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী জামিনে বেরিয়ে এসেছে। পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরেছে। সক্রিয় হয়ে উঠেছে তিন-চারটি কিশোর গ্যাং।
গত ২১ অক্টোবর রাতে কয়রা উপজেলার কাটাখালী গ্রামে পুলিশের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা অপহরণ মামলার আসামি হারুন গাজীকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। তাদের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নগরীর জিন্নাহপাড়া, মোল্লাপাড়া, লবণচরা ও শিপইয়ার্ড এলাকায় কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেছে সন্ত্রাসীরা। মাদক বেচাকেনাও বেড়েছে। এ ছাড়া আগে বড় কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশের যে তৎপরতা বা অভিযান থাকতো, সেটাও ঝিমিয়ে পড়েছে।
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর তৎপরতা ঝিমিয়ে পড়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। তাদের মধ্যে এখন আগের মতো ভয় নেই। এর ফলে অস্ত্রের মহড়া ও হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। মানুষ
নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।’
মহানগর বিএনপি গত ২৬ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুলিশ কাজে ফিরলেও তাদের আচরণ ও ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে নগরীতে চুরি-ডাকাতি বেড়েছে।
মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘নগরীতে পুলিশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। বিএনপি’র একজন নেতাকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার।’
তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘মূলত মাদক বেচাকেনা-সংক্রান্ত বিরোধ এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এসব ঘটনা ঘটছে। সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়েছে এটা ঠিক, কিন্তু পুলিশের তৎপরতা মোটেও ঝিমিয়ে পড়েনি। আমরা নিয়মিত চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্রধারীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি। টহল কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।’