জাহাজে ৭ খুন: বিচারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা

সারাদেশে ১০ হাজার পণ্যবাহী নৌযান ও লক্ষাধিক শ্রমিকদের নিরাপত্তা দাবি করেন নৌযান শ্রমিকরা।
সারাদেশে ১০ হাজার পণ্যবাহী নৌযান ও লক্ষাধিক শ্রমিকদের নিরাপত্তা দাবি করেন নৌযান শ্রমিকরা।  © সংগৃহীত

চাঁদপুরে এম. ভি. আল বাখেরা জাহাজে ৭ খুনের প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটন, বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনটির অফিস সচিব আতিকুল ইসলাম টিটুর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে  এম. ভি. আল-বাখেরা জাহাজে মাস্টারসহ ৭ জন শ্রমিকের খুনের ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার, মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মালবাহী, তেল-গ্যাসবাহী, বালুবাহীসহ সব পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছে। 

যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনা করে আপাতত সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন,'সারবোঝাই এমভি আল বাখেরা জাহাজের ৮ কর্মীকে একজন কুপিয়ে হত্যা করেছে। এটা একজনের একার কাজ হতে পারে না। আমরা এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত ছিল সেটা জানতে সরকারের কাছে সঠিক তদন্ত দাবি করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'সারাদেশে ১০ হাজার ছোট পণ্যবাহী নৌযান ও লক্ষাধিক শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি। যারা ওই জাহাজে হতাহতের শিকার হয়েছেন সরকারের পক্ষ থেকে জন প্রতি ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতি পূরণও দাবি করছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতিসহ পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

অপরদিকে, জাহাজে হত্যাকাণ্ডের পর চাঁদপুর নৌরুটে সব ধরনের নৌ নিরাপত্তাহীনতার রয়েছেন বলে স্থানীয়ভাবে চলাচলকারী লঞ্চযাত্রী ও নৌযান শ্রমিকরা দাবি করছেন। তবে এবিষয়ে চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, 'জাহাজে হত্যাকাণ্ড ব্যক্তিগত আক্রোশের ঘটনা ছিল। নদীতে নৌযানগুলো কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় নেই। নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড সবসময় সতর্ক অবস্থায় আছে।'


সর্বশেষ সংবাদ