ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গায়ে আগুন, কাটা পড়তে পারে হাত

ঢামেকের বার্ন ইউনিট
ঢামেকের বার্ন ইউনিট  © ফাইল ফটো

বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই ছাত্রীএ শরীরের ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর এক হাত কেটে ফেলতে হতে পারে।

গত শুক্রবার ওই ছাত্রীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি কর হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে একা ছিল ওই ছাত্রী। তখন বৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকেন সাইফুল। ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে তার গলা টিপে ধরেন তিনি। এতে অচেতন হয়ে পড়ে সে। পরে তাকে ধর্ষণ করেন সাইফুল। ছাত্রীর শরীরে জামা-কাপড় ও চটের বস্তা রেখে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনের তাপে চেতনা ফিরলে চিৎকার শুরু করে কিশোরী। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করেন। সাইফুলকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ ঘটনায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। আর ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা সঙ্গে বলেন, ‘সাইফুল আমার মাইয়ার জীবন নষ্ট করছে। পোড়াইয়া মারতে চাইছে। আমি তার ফাঁসি চাই।’

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মেয়েটির শরীরের ২৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। হাতটি শেষমেশ রাখা যাবে নাকি কেটে ফেলতে হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’


সর্বশেষ সংবাদ