নীলক্ষেতে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

নীলক্ষেতে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
নীলক্ষেতে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি  © সংগৃহীত

রাজনীতির নীলক্ষেত মোড়ে সাত সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সামাজতান্ত্রিক ছাত্র। একইসঙ্গে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করেছে সংগঠনটি। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

হামলার ঘটনার পর বুধবার (২১ জুন) রাতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টে এক বিবৃবিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচিতে ২১ জুন ২৩ রাত ৯টায় পুলিশী অত্যন্ত ন্যাকারজনক হামলা চালায়। এ সময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইডেন কলেজ শাখার সভাপতি শাহিনুর আক্তার সুমি, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সায়না, সোহরাওয়ার্দী কলেজের জয় রায়, ঢাকা কলেজের সম্রাটকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশী হামলায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের রক্ষায় এগিয়ে আসলে পুলিশ সেখান থেকে গ্রেফতার করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম ও সংগঠক মোজাম্মেল হককে। তাদেরকে নিউমার্কেট থানায় নিয়ে গিয়েছে। 

এতো আরও বলা হয়, পুলিশী হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি নাহিয়ান রেহমান রাহাত, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানসহ ১০/১৫জন শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য, ৭ কলেজের সংকট নিরসন স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন, সিজিপিএ শর্ত শিথিল, সমন্বিতভাবে ফলাফল প্রকাশসহ রেজিস্ট্রার ভবনে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপে দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিল শিক্ষার্থীরা।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশী হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক যুক্ত বিবৃতিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন-"সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের এ হামলা অত্যন্ত নিন্দাজনক। এ থেকে প্রমাণ হয় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সাধারণ দাবিতে কোন আন্দোলন সরকার মেনে নিতে পারছে না। 

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ছাত্রনেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি, হামলাকারী পুলিশের বিচার ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়ার জোরালো দাবি করেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।"

এর আগে গতকাল বেশকিছু দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে প্রমোশনসহ সাত দফা দাবি নিয়ে গতকাল দুপুর ১২টায় নিউমার্কেটের বলাকা সিনেমা হলের সামনে জড়ো হন। পরে সাত কলেজের শিক্ষকরা এসে আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের ইডেন কলেজের সামনে নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন: আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের

তখন শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সাথে দেখা করতে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজের সামনে অবস্থান করে। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবি মেনে নিলেও একটি মানেনি প্রশাসন। তাই এক দফা দাবিতে ইডেন কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেতে এসে পুনরায় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার জন্য পুলিশ এবং সাত কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় থাকায় তাদের সড়ক থেকে সরানো যায়নি। পলে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence