জেলে বাবা-ভাইকে দেখতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

নবম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ
নবম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ  © সংগৃহীত

বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে জেলে দেখা করতে যাওয়ার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১০ সেপ্টম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী ইউএনও'র ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ে জেলে রয়েছেন সেই ছাত্রীর বাবা ও ভাই। তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসার পথে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হন তিনি।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী থেকে শহরে আসার সময় একই এলাকার আসলাম, বাবুলসহ ৫-৬ জন ওই ছাত্রীকে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটি ধর্ষণে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১২টায় জেলা সদরের শ্রী কৃষ্টপুর ইক্ষু খামারে মেয়েটিকে ফেলে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশী চাচা তার বাবা ও ভাইকে জেলে দেয়। বাবা-ভাইকে দেখতে আসার সময় সেই চাচা অটো গাড়িতে তুলে গলায় ছুরি ধরে। পরে মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে সে দেখে একটি ঘরে ৬ জন তাকে ঘিরে ধরে আছে। পরে তার উপর নির্যাতন করা হলে সে আবার অজ্ঞান হয়ে যায়। তারপরে জ্ঞান ফিরলে সে দেখে তার অবস্থান সদর হাসপাতালে।’

আরও পড়ুন: ছেলেকে কোচিংয়ে দিতে গিয়ে লাশ হলেন বাবা

মেয়েটির মা বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে কোনো পুরুষ নাই। দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে পলাতক, আরেক ছেলে ও স্বামী জেলখানায়। গতকাল মেয়েটা বাবা ও ভাইকে দেখতে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়।’

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স জানান, মেয়েটিকে নির্যাতনের ফলে তার যৌনাঙ্গ ফেটে গিয়েছে। সেখানে ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় আঘাত করায় সেখানে ক্ষত হয়েছে ও পেটেও ছুরির আঘাত রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অভিযোগ বা এজাহার পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 


সর্বশেষ সংবাদ