সাকিব বললেন, ‘আমি পালিয়ে যাচ্ছি না’
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৬ PM , আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৬ PM

সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিতর্ক যেন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বিতর্ক সাকিবকে ভালোবাসে, নাকি এই তারকাই যেচে ডেকে নিয়ে আসেন বিতর্ককে? এই উত্তর দেওয়া বেশ কঠিনই বটে।
কখনও ক্রিকেটে, কখনও মাঠের বাইরে কোনো বিষয়ে—শেয়ার বাজার কারসাজি, কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাত এবং সবশেষ জুটেছে হত্যা মামলার খড়গ। সবমিলিয়ে কোনোভাবেই দেশে ফেরা হচ্ছে না সাকিবের। তবুও দেশে ফিরতে চান তিনি। আবারও লাল-সবুজের জার্সিতে ২২ গজ মাতানোর স্বপ্ন তার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টাইগারদের এই পোস্টারবয় জানিয়েছেন, যত অভিযোগ আছে, সবকটির তদন্তে সরকারকে সহযোগিতা করতে রাজি তিনি। তবে, ছোট্ট একটি শর্ত আছে তার—নিরাপত্তা।
সেই সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, ‘আমি শেয়ার বাজারের ব্যবসা থেকে কোনো লাভ করিনি। প্রক্রিয়াতেও জড়িত ছিলাম না। কোনো মিটিংয়ে যাইনি, অফিসেও যাইনি। তাহলে কীভাবে, আমি দোষী হতে পারি? শুধু ইনভেস্ট করেছি বলেই কি সব দায় আমার? আমি সেখানে টাকা হারিয়েছি। কেউ যদি দেখাতে পারে, আমি কীভাবে লাভ করেছি, আমি সেটাই দেখতে চাই। আমি চাই একটা সঠিক তদন্ত হোক, যাতে আমি বুঝতে পারি কোথায় কিভাবে এত ক্ষতি হলো।’
সাকিব আরও বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানকে মেসেজ করেছি। যদিও এখনো কোনো উত্তর পাইনি। কিন্তু আমি যেকোনো সমস্যার বিষয়ে কথা বলতে রাজি। আমি শেয়ার মার্কেট, ব্যাংকিং সেক্টর, এমনকি সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি, যেন একটা সমাধান বের হয়। আমি পালিয়ে যাচ্ছি না। আমি এগিয়ে এসে সব ঠিক করতে চাই। আমি মনে করি, আমি সেই সুযোগ পাওয়ার যোগ্য, আর যদি তা দেওয়া হয়, আমি খুশি হবো।’
তদন্তে সহযোগিতার কথা জানিয়ে সাকিবের মন্তব্য, ‘তারা যেকোনো তথ্য চাইলে আমি দিতে প্রস্তুত—চাই সেটা কাঁকড়া খামারের হোক বা শেয়ার মার্কেটের ব্যবসার। যদি তারা মনে করে যে আমাকে ডেকে বিস্তারিত তদন্ত করতে হবে, আমি তাতেও রাজি। আমি কিছু লুকাচ্ছি না বা কিছু চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছি না।’
সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন সাকিব। সেই সময়ে জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি আর খেলবেন না তিনি। আর অক্টোবরে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণার পাশাপাশি ওয়ানডেতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে রাজনৈতিক বিতর্কে একটি ইচ্ছেও পূরণ হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ৩৮ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি সংসদ সদস্য ছিলাম। কিন্তু এখন তো আর নেই এবং কোনো দলে কোনো রাজনৈতিক পদও নেই। যে কাজটি আমি ১৮ থেকে ২০ বছর (বাংলাদেশের হয়ে খেলা) ধরে করছি, সেটা থামিয়ে দেওয়াটা কি আপত্তিকর নয়? আমি এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলে ভালোভাবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। যদি সুযোগ থাকে, আমি এক সিরিজ, দুই সিরিজ নাকি আরও এক বছর খেলব, সেই পরিকল্পনা করতে চাই।’