পিরোজপুরে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে কৃষকেরা
- পিরোজপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৮ AM , আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৪:৩৮ PM
পিরোজপুরে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান ঘরে তুলতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। মাঠের পর মাঠ ধান পেকে গেলেও কাটার মতো শ্রমিক নেই। ফলে নাজেহাল অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন চাষিরা। জেলার কৃষকদের অভিযোগ, সরকারিভাবে ৬৯টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হলেও অধিকাংশ এলাকায় এসব যন্ত্রের দেখা মেলে না। অনেকেই জানেন না কীভাবে বা কোথা থেকে এই যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে।
পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাষি ফজলু শেখ বলেন, “দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু ধান কাটতে পারছি না। ৮০০ টাকা মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছি না। কৃষি অফিস বলছে হারভেস্টার মেশিন আছে, কিন্তু আমরা কখনো দেখিনি।”
কৃষকদের আশঙ্কা, বৃষ্টির আশঙ্কা ও ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়া এই সংকটকে আরও জটিল করে তুলবে।
চলতি মৌসুমে উৎপাদন খরচও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সার, বীজ, সেচ ও কীটনাশকের পাশাপাশি ডিজেল ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকদের উপর বাড়তি চাপ ফেলেছে। তার ওপর শ্রমিকের সংকট ও মজুরি বৃদ্ধিতে ধান ঘরে তোলা আরও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিক সংকট ও বৈরী আবহাওয়ায় কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সমাধানে জেলায় ৬৯টি হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। মেশিন ব্যবহারে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পিরোজপুরে ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার হেক্টরে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার হেক্টরের ধান কাটা হয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, যদি দ্রুত শ্রমিক সংকট ও হারভেস্টার যন্ত্রপাতির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে ফলন ভালো হলেও তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।