৪০ বছর ধরে পবিত্র কোরআন বাঁধাইয়ের কাজ করেন শাহ আলম
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৪ AM , আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬ AM

ষাটোর্ধ্ব বয়সী মো. শাহে আলম দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুসলিমদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ আল কোরআন শরিফ বাঁধাইয়ের কাজ করছেন। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চর যমুনা গ্রামের আলী মুন্সি বাড়ির মৃত সৈয়দ মুন্সির ছোট ছেলে।
শাহ আলম জানান, শেষ নবী প্রিয় হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর ওপর আল্লাহ তায়ালা এই আসমানী কিতাব নাজিল করেছেন। মুসলমানরা এই কিতাব পাঠ করে থাকেন। এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা সম্ভব। আল্লাহ পাক আমাকে তৌফিক দান করেছেন বিধায় আমি এই কোরআন শরিফ বাঁধাইয়ের কাজ করতে পারছি এটি একটি আল্লাহর বড় নেয়ামত। এ কাজে আল্লাহ আমাকে বরকত ও রহমত দান করেন।
এ কাজের সরঞ্জাম হিসেবে তিনি বরমা, কাছি, সুঁই, সুতা, ঘাম, কাপড়, ছাপার কাগজ ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকেন। সরঞ্জামগুলো একত্রে ৩০০ টাকায় ক্রয় করেছেন বলে জানান তিনি। প্রতিটি কোরআন বাঁধায় করতে ১০০ টাকা করে নেন, আকার বেধে কম বেশি হতে পারে বাঁধাইয়ের মূল্য।
বাড়িবাড়ি গিয়ে কোরআন শরিফ বাঁধাইয়ের কাজ করে তার দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মতো আয় হয়। এই আয় দিয়ে চলে শাহে আলমের ৫ সদস্যের সংসার।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাঁধায়ের কাজ করার জন্য উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের এক বাড়িতে তার দেখে মেলে। সেখানে দেখা যায় তার কাছে সেই গ্রামের লোকজন কুরআন শরিফ বাঁধাই করতে আসেন।
তার কাছে কোরআন শরিফ বাঁধাই করতে আসা গৃহবধূ মুক্তা জানান, চাচা অনেক যত্নসহকারে এ কাজ (কোরআন শরিফ) বাঁধায় করে থাকেন। এতে করে অনেক সময় লাগে।
বাঁধায়ের কাজ করা শাহে আলম জানান, সকাল ১০ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে এখন পর্যন্ত ৭ টি কোরআন শরিফ বাঁধায়ের কাজ করেছেন। তবে কোনো দিন কম আবার কোনোদিন বেশি বাঁধায়ের কাজ পাওয়া যায়। কোরআন শরিফ বাঁধায়ের আয় দিয়ে তার সংসারের ব্যয়বার বহন করেন তিনি।